তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে আরও তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ

তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে আরও তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে আরও তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। একজনের আংশিক শুনানি হয়েছে। এ পর্যন্ত এই মামলায় মোট ২৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এ মামলায় মোট সাক্ষী ৫৬ জন।

আদালতে যারা সাক্ষী দিলেন তারা হলেন- প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. হুমায়ুন কবির, একই ব্যংকের সিনিয়র অফিসার মো. আব্দুল্লাহ আল হাসান ও অফিসার শেখ আশরাফুল ইসলাম এবং সুন্দরবন এয়ার ট্রাভেল এর সিনিয়র সেলস অফিসার শেখ মুজিবুর রহমান।

পরবর্তী শুনানি ১১ জুন ধার্য করা হয়েছে। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. আসাদুজ্জামান মহানগর দায়রা জজ এই দিন ধার্য করেন।

নথি থেকে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১ নভেম্বর তারেক রহমান ও জোবায়দার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

বর্তমানে তারা পলাতক রয়েছেন।

আরজি থেকে জানা গেছে, ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক।

মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। এরপর ২০০৮ সালে এই তিন জনের বিরুদ্ধে দাখিল করা হয় অভিযোগপত্র।

এদিকে, মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। তবে এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবায়দাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

উচ্চ আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ টু আপিল করেন জোবায়দা। এরপর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ টু আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন।