বাগেরহাটে ‘কোটি টাকার কথিত সীমানা পিলার’ রহস্য উন্মোচন!

বাগেরহাটে ‘কোটি টাকার কথিত সীমানা পিলার’ রহস্য উন্মোচন!

বাগেরহাট প্রতিনিধি:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সিমন্ট ও বালু দিয়ে ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৮১৮’ লিখে স্থানীয় ভাবে তৈরি করা দুটি কথিত সীমানা পিলারসহ এক প্রতারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মাত্র ১০ দিন ধরে মাত্র ৬ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রতিটি ২০ কেজি ওজনের কথিত কোটি টাকা মূল্যের সীমানা পিলার দুটি বিক্রির চেষ্টাকালে বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে প্রতারক সেলিম শিকদার ওরফে জিহিরকে (৫২) মোরেলগঞ্জের বিষখালী গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

গ্রেপ্তারকৃত সেলিম শিকদার ওরফে জিহির বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামের হানিফ শিকদারের ছেলে।  

মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান জানান, কথিত সীমানা পিলারের নামে কোটি টাকার বাণিজ্যের লোভ দেখিয়ে স্থানীয় ভাবে তৈরি করে একটি চক্র সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে প্রতারক সেলিম শিকদার ওরফে জিহির মোরেলগঞ্জের বিষখালী গ্রামের একটি বাগানবাড়িতে খড়কুটা দিয়ে কথিত ওই পিলার দুটি ঢেকে রাখে।  

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের একটি পার্টিকে পিলার দেখানোর কথা বলে স্থানীয় এক যুবক সেলিমকে পিলার দুটিসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারে সহয়তা করে। উদ্ধার হওয়া পিলার দুটিতে লেখা রয়েছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৮১৮। প্রতিটি পিলারের ওজন প্রায় ২০ কেজি।

গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছে প্রতারক সেলিম সঈকার করেছে পিলার দুটি সিমন্ট ও বালু দিয়ে স্থানীয় বাবে তৈরি করা হয়েছে। আসলে কোটি কোটি টাকা দামের পিলার বলতে কিছু নেই। এই পিলার দুটি বানাতে ১০ দিন সময় ও ৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

কোনও পার্টি ম্যানেজ করতে পারলে ১০ লাখ টাকায় ওই কথিত সীমানা পিলার বিক্রি করা হয়। কথিত সীমানা পিলার বিক্রি চক্রের সাথে মোরেলগঞ্জ ও কচুয়া উপজেলার পাঁচজন রয়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে সে। এ ঘটনায় সেলিমসহ অন্য চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেলিম শিকদারের বিরুদ্ধে ঢাকার বনানী, বাগেরহাটের কচুয়া ও মোরেলগঞ্জ থানায় প্রতারণা ও চুরিসহ বিভিন্ন অভিযোগে পাঁচটি মামলা রয়েছে।

news24bd.tv/কেআই