বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক, প্রেমিক-প্রেমিকাকে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত!

সংগৃহীত ছবি

বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক, প্রেমিক-প্রেমিকাকে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত!

অনলাইন ডেস্ক

বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ না। তবু গাড়িতে করে বাইরে ঘুরতে গেছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেমিক ‘এম’ (২৪) এবং ‘আরও’ (২৩)। একটি পার্ক করা গাড়িতে তারা রোমাঞ্চে মেতে উঠেছিলেন। গড়ে তোলেন শারীরিক সম্পর্ক।

তা ধরা পড়ে যায় অন্যদের চোখে। এ জন্য তাদের প্রতিজনকে শরীয়া আইনের অধীনে ২১ ঘা করে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করা হয়েছে। এ ঘটনা ঘটেছে আচেহ প্রদেশে। সিন্দো নিউজের মতে, এই যুগলকে সুমাত্রা দ্বীপের বান্দা আচেহ শহরের উলি লি হারবারে একটি গাড়ির মধ্যে পাওয়া যায়।
এ সময় ওই গাড়িটি দুলছিল। গাড়িটি চেক করে তাদেরকে পাওয়া যায়।

সেখানে তারা রোমাঞ্চে মেতে উঠেছিলেন। এ জন্য গত বুধবার বিকেলে বাস্তানুল সালাটিন কমপ্লেক্সে তাদেরকে শাস্তি হিসেবে বেত্রাঘাত করা হয়।  

ছবিতে দেখা যায়, বেত্রাঘাত করার সময় একজন পুলিশ কর্মকর্তা মাইক্রোফোনে কথা বলছেন। অন্যরা বেত্রাঘাতের ছবি ধারণ করছেন। যিনি বেত্রাঘাত করেছেন তার মাথা থেকে পা পর্যন্ত কালো কাপড়ে ঢাকা। চোখ দুটি বরাবর একটি সাদা মাস্কে ঢেকে রাখা। এই প্রেমিক ও প্রেমিকাকে আলাদা দুটি রুমে নিয়ে যেতে দেখা যায়। ‘আরও’ নামের প্রেমিকাকে দেখা যায় একটি নীল কার্পেটের ওপর। তিনি একটি সাদা বোরকা পরা। এ অবস্থায় তাকে বেত্রাঘাত করা হয়।  

বান্দা আচেহ প্রসিকিউটরের অফিসের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন সেকশনের প্রধান ইসনাওয়াতি বলেছেন, এ দু’জনেই জিনায়েত আইন লঙ্ঘন করেছেন। ওদিকে আচেহ বেসারে লহোকঙ্গা জেলখানায় আটক করে রাখা হয়েছে ‘আরও’কে। কাজহু বন্দিশিবিরে আটক রাখা হয়েছে ‘এম’কে।  

বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুসলিমের বসবাস ইন্দোনেশিয়ায়। দেশটির ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে আচেহ একমাত্র প্রদেশ, যেখানে শরীয়া আইন থেকে আইন নিয়ে তা গ্রহণ করা হয়েছে। ২০০৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে স্বায়ত্তশাসনের চুক্তি হয় প্রদেশটির। তার অংশ হিসেবে সেখানে ধর্মীয় আইন অনুসরণ করা হয়। ওই চুক্তির ফলে কয়েক দশকের বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহের অবসান হয় সেখানে। জুয়া, প্রতারণা, এলকোহল পান, সমকামিতা অথবা বিয়ের আগেই যৌনতার অপরাধ সহ বিভিন্ন কারণে সেখানে শাস্তি হিসেবে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত একটি সাধারণ বিষয়।  

news24bd.tv/aa