সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস মঙ্গলবারও (১৩ জুন) দেশের দুই পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে। এ দিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ২৯ পয়েন্ট।
সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেন এবং অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইর তথ্যমতে, মঙ্গলবার বিমা কোম্পানির শেয়ারের দাম বৃদ্ধির মধ্যদিয়ে দিনের লেনদেন শুরু হয়ে চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত। এরপর শুরু হয় শেয়ার বিক্রির চাপ। সেই চাপের কারণে শেষ দেড় ঘণ্টা লেনদেন হয় সূচক পতনের মধ্যদিয়ে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬৬৯ কোটি ১৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৯৮১ কোটি ৪৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ দিনের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে। লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৫টির, কমেছে ১২১টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দাম।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১১ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরীয়াহ সূচক ২ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসই৩০ সূচক দশমিক ১০ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৮৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আজ ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার। এরপর সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্টস অ্যান্ড স্পার শেয়ার। পরের তালিকায় রয়েছে মেঘনা লাইফ ইনস্যুরেন্সের শেয়ার।
এছাড়া শীর্ষ ১০-এ ছিল যথাক্রমে- ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সোনালী লাইফ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, রূপালী লাইফ, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ এবং ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের শেয়ার।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক ২৯ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৬২০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন সিএসইতে ১৮৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৩টির, কমেছে ৮০টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৭১টির দাম।
দিন শেষে সিএসইতে ৯ কোটি ৬৯ লাখ ৮৬ হাজার ৯৭ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৯ কোটি ৭১ লাখ ৮৮ হাজার ৮২৫ টাকার শেয়ার।
news24bd.tv/আইএএম