৯ বছর আগের ঘটনা। ক্যাথরিন মায়োরগা নামে নাইটক্লাবের এক নারীকে ধর্ষণ করেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। মায়োরগার করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। নয় বছর আগের ঘটনা নতুন করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
২০০৯ সালে সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা সম্পর্কে বর্তমানে স্কুলশিক্ষিকা ক্যাথরিন মায়োরগা বলেন, পর্তুগিজ তারকা তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন। মায়োরগা সেই সময় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু রোনালদোর পক্ষ থেকে ব্যাপারটা মিটিয়ে ফেলতে চাপ আসে। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ডলার ট্রান্সফার করা হয়।
প্রবল লড়াইয়ের পরও একটা সময় বিচারের আশা ছেড়ে দেয় মায়োরগা। কিন্তু ৯ বছর পর হঠাৎ করে একটি আইন সংস্থার মাধ্যমে ফের মুখ খুলেছেন ক্যথরিন। এখন তাঁর বয়স ৩৪ বছর। রোনাল্ডোর ৩৩। ক্যাথরিন মায়োরগার অভিযোগ আবার প্রকাশ করেছে জার্মানির একটি ম্যাগাজিন। আর তারপর থেকেই সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
আগে থেকেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো বিভিন্ন মাধ্যমে এই ধর্ষণের ঘটনা অস্বীকার করে আসছিলেন। তার নিজের আইনজীবীর মাধ্যমে বলছিলেন, অভিযোগকারিনী সবার নজরে আসার জন্য এ ধরনের মনগড়া ঘটনার জন্ম দিয়েছে। এটা কোনওভাবেই সত্য নয়।
এবার টুইটারে রোনালদো সরাসরি ধর্ষণের ঘটনা অস্বীকার করেছেন।
টুইটারে তিনি লেখেন, আমি দৃঢ়ভাবে আমার প্রতি ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করছি। ধর্ষণ খুবই জঘন্য একটি অপরাধ। আমি নিজেও এ ধরনের অপরাধের বিরোধী। আমি নিজে চাই এই অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে। এমনকি আমার নামে মিডিয়ায় যে সব অভিযোগ উঠেছে এবং মনগড়া বক্তব্য এসেছে, তার বিরোধিতা করছি।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)
