আজ বিশ্ব বাবা দিবস

সংগৃহীত ছবি

আজ বিশ্ব বাবা দিবস

অনলাইন ডেস্ক

বাবারা সন্তানের জন্য ৩৬৫ দিনই ভাবতে পারেন। আজ সেই বাবাদের জন্য স্পেশাল দিন। তবে দিবসটি কাউকে কাঁদায়, কাউকে আনন্দ দেয়। যাদের বাবা বেঁচে আছেন বুকে জড়িয়ে ভালোবাসা দিতে পারেন, নিতে পারেন।

রেস্তোরাঁ থেকে খাবার আনিয়ে খাওয়াতে পারেন।

বাবা হয়তো বলে উঠবেন, না না, টাকা খরচ করার দরকার নেই। তবু সন্তান যদি বাবার প্রিয় খাবারটি কিনে আনেন, প্রিয় জামা-কাপড় এনে দেন, হাতে তুলে দেন উপহার-তখন আনন্দে বাবার চোখের পানি গড়িয়ে পড়ে। যাদের বাবা নেই তারা প্রার্থনা করেন।

নানাভাবে স্মরণ করেন বাবার সুখস্মৃতি।

রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনসংলগ্ন বস্তিতে বসবাস করেন হিরণ মিয়া। এ শহরে রিকশা চালান। গ্রামের বাড়ি রংপুর। স্ত্রী, সন্তান ও বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে ভাড়া থাকেন। জানালেন, ‘বাবা মোর সাথে থাকে না-বাবার সাথেই হামরা থাকি। ফি সপ্তাহে বাবাকে গোস্ত খাওয়াং। ’

জার্মানি থেকে আসা প্রবাসী আমিন শেখ বলেন, আজ আমার বাড়িগাড়ি সবই আছে। কেবল বাবা নেই। মাও নেই। এমন শূন্যতা পূরণ হয় না।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গুনগুন হাবীব। বাবাকে হারিয়েছেন এক বছর। তিনি বলেন, বাবা জীবনের অর্জিত সম্পত্তি সন্তানদের দিয়ে গেছেন। আমাদের সুখের জন্য সব গড়েছেন। প্রতিটা মুহূর্তে মনে হয়, বাবা আশপাশেই আছে। কিন্তু জড়িয়ে ধরতে পারি না। বুকে মাথা রাখাতে পারি না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজকল্যাণ বিভাগের প্রধান ড. মনিরুল ইসলাম খান জানান, একজন সন্তানের কাছে মা-বাবা থাকাটাই যথেষ্ট। বাবা সন্তানের জন্য কী, কতটা মূল্যবান-তা যে সন্তান অনুভব করতে পারে না সে অতি হতভাগ্য। সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তায় বাবা প্রাণপাত করেন। নিশ্চিত করে বলা যায়, সন্তানকে তাদের ভবিষ্যতের ‘বিনিয়োগ’ না ভেবেই বাবা নিজের শখ-আহ্লাদ বিসর্জন দেন।

news24bd/ARH

এই রকম আরও টপিক