ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয়া সেই নারীর অবস্থা সংকটাপন্ন। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও চেতনা ফেরেনি পুরোপুরি।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ’র রেজিস্টার ডা. খায়রুল কবির জানান, অবস্থা এমন যে তিনি অস্ত্রোপচার করার মত অবস্থাতেও নেই। তার শুধুমাত্র অক্সিজেন লেভেল ঠিক আছে।
তাই লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়নি। তার জ্ঞানের মাত্রা আছে ৮। যেখানে স্বাভাবিক মানুষের মাত্রা থাকে ১৫।ডা. খায়রুল আরও জানান, রোববার সকালে নিউরো সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা আবারও সিটিস্ক্যান করবেন।
শুক্রবার রাতে পোশাক কারখানায় কাজ শেষে হাইওয়ে মিনিবাসে বাসায় ফিরছিলেন ওই নারী। পথে ভালুকা সিডস্টোর এলাকায় অন্য যাত্রীরা নেমে গেলে বাসে একা হয়ে পড়েন।
এসময় ওই নারী একা থাকায় চলন্ত বাসেই ধর্ষণের চেষ্টা চালায় চালক ও দুই সহকারী। প্রতিরোধের চেষ্টা করেন নারী। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা প্রথমে তাকে মারধর করেন, তারপর চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেন।
বাস থেকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান তিনি। স্থানীয়রা প্রথমে ভালুকা সিডস্টোরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ভোরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।
পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা জানান, ঘটনার পরপরই হাইওয়ে পুলিশ বাসটি আটক করেছে। ওই রাতেই পুলিশ চালকের দুই সহকারীকে ভালুকা ও চালককে ত্রিশাল থেকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন চালক রাকিব (২১), সহকারী আরিফ (২০) ও সুপারভাইজার আনন্দ দাস (১৯)।
ভালুকা মডেল থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, গতকাল বিকালে ভালুকা থানায় ভুক্তভোগীর ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।