জাতীয় সংসদে আয়কর বিল-২০২৩ পাস হয়েছে। রোববার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিলটি প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলটি বাছাই কমিটিতে পাঠানো ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি হয়। এ সময় সরকারি দল ও বিরোধী দলের কয়েকজন সংসদ সদস্যদের বেশ কয়েকটি সংশোধনী সংসদে গ্রহণ করা হয়।
বিলের আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, যাদের ১০১টি গাড়ি আছে তাদের বিপুল পরিমাণে কর দিতে হবে। আইনে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ স্থায়ী করা হচ্ছে। এতে কলো টাকা আয় করতে মানুষ উৎসাহী হবে।
একই দলের আরেক সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, বিদেশিদের যারা ডোনেশন দেন তারা সেখানে আয়কর দিয়ে চ্যারিটির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠাচ্ছেন।
কিন্তু করের জাল ফেলে অনেক মাছ ধরা পড়বে। এতে অনেক উপকারী মাছও মারা যাবে। তিনি অভিযোগ করেন, এই আইনের মাধ্যমে এনবিআরকে স্বেচ্ছাচারী ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন কোনটা ধর্মীয় আর কোনটা দাতব্য তা ঠিক করার সামর্থ্য কি এনবিআরের আছে?
জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, কর আদায়ের পদ্ধতি ডিজিটাইজড করতে খরচ হবে ১০ হাজার কোটি টাকা। আর এতে দেড় লাখ কোটি টাকা কর আদায় বাড়বে। কিন্তু এটি করা হচ্ছে না। এই টাকাটা ঘুষে চলে যাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, ঘুষ ছাড়া এনবিআরে কোনও ফাইল চলে না। এনবিআরই ডিজিটাইজেশনে বাধা।
জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বাংলায় সহজবোধ্য করে আইনটি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়াতে হবে। কিন্তু কারও ওপর জোর করে চাপিয়ে দিয়ে সেটা করা যাবে না। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে রাজস্ব আদায় ছিল ৫৯ হাজার কোটি টাকা। এখন সেটা ছয় গুণ বেড়েছে। এখানে সরকার খুব খারাপ করেছে তা নয়। আবার খুব ভালো করেছে সেটাও না।
news24bd.tv/আইএএম