বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটে বাড়ছে পানি, বন্যার আশঙ্কা

সংগৃহীত ছবি

বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটে বাড়ছে পানি, বন্যার আশঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক

অবিরাম বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পানি বাড়ছে সিলেট ও সুনামগঞ্জের নদ-নদীতে। শনিবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপদসীমা ছাড়ালেও রাতে আবার নিচে নেমে যায়। তবে রবিবার বিকেলে আবারও পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। এছাড়া দিনভর বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে অন্যসব পয়েন্টেও পানি বিপমসীমা ছুঁই ছুঁই করছে।

সুনামগঞ্জে সুরমা নদী ছাতক পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ কারণে তাহিরপুরের সাথে জেলা সদরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

বাংলাাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বন্যা নিয়ন্ত্রণ কনট্রোল রুম থেকে রবিবার জানানো হয়, সন্ধ্যা ৬টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

অন্যদিকে সিলেটে সুরমার পানি বাড়লেও রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিপদসীমা অতিক্রম করেনি।

সন্ধ্যা ৬টায় এ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুশিয়ারা নদীর পানি আমলসীদ পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। এখানে পানি বিপদসীমার ১০২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর পানি শেওলা ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বাড়তির দিকে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা জানান, ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সুনামগঞ্জের নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। রবিবার সকালে ছাতক পয়েন্ট দিয়ে পানি বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ভারতের টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে সুনামগঞ্জে বন্যা হতে পারে।

সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রবিবার সকাল ৬টা থেকে আগের ২৪ ঘন্টায় সিলেটে ৯২ মিলিমিটার এবং এদিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। অপরদিকে, রবিবার বৈরি আবহাওয়া ছিল সিলেটে। সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিলো।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকায় নদীর পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। জেলার তাহিরপুর উপজেলার শক্তিয়ার খোলা এলাকার এক কিলোমিটার সড়ক যাদুকাটা নদীর পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বর্তমানে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সব নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

এই রকম আরও টপিক