ক্রেতা মিলছে না ৩৫ মণের ‌সিংহরাজের

সংগৃহীত ছবি

ক্রেতা মিলছে না ৩৫ মণের ‌সিংহরাজের

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

ক্ষুদ্র পান ব্যবসায়ী সুচিন্ত্য কুমার।  বাড়ি রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের সিংগাইরে। শখের বসে পাশের জেলা কুষ্টিয়া থেকে ফ্রিজিয়ান জাতের একটি ষাঁড় কিনে আনেন। আদর করে নাম রাখেন সিংহরাজ।

 

চার বছরের ব্যবধানে সেই সিংহরাজ বিশালাকার ধারণ করেছে। প্রস্তুত করা হয়েছে কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্য। ১০ ফুট লম্বা আর ৬ ফুট উচ্চতার কালো রঙের এই ষাঁড়টির ওজন প্রায় ৩৫ মণ।

ঈদ ঘনিয়ে এলেও বিশাল আকারের এই ষাঁড়টির ক্রেতা না থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সুচিন্ত্য কুমার সেন।

গত কোরবানি ঈদেও মানসম্মত দাম না পাওয়ায় গরুটি বিক্রি করতে পারেননি তিনি।

ষাঁড়টির প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার টাকার খাবার দিতে হয়। তার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রয়েছে,  খুদের ভাত, ডাব ও গুড় দিয়ে তৈরি শরবত, কাঁচা-পাকা কলা, গমের ভুসি, ভুট্টার গুড়া, চালের কুড়া, খেসারি ডালের ভুসি, ছোলা ভাঙা, তিল বা সয়াবিনের খৈল ও কাঁচা ঘাস।

সিংগাইর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমন শেখ বলেন, কোরবানি ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। তবে এখনো সিংহরাজকে সঠিক মূল্য দিয়ে কেনার মতো কোনো ক্রেতা আসেনি। এবারের কোরবানি ঈদে ষাঁড়টি বিক্রি করতে না পারলে ওর প্রতিদিনের খাবার কিনতে পথে বসে যাবে মালিক।  

সিংহরাজের মালিক সুচিন্ত্য কুমার সেন বলেন, চার বছর আগে মাত্র ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলাম ষাঁড়টি। আদর করে নাম রাখি সিংহরাজ। একে লালনপালন করতে গিয়ে আজ আমি ঋণগ্রস্ত। বর্তমানে প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার টাকার বেশি খাবার খাওয়াতে হচ্ছে। আমি আর কুলাতে পারছি না। বিশাল আকারের এই ষাঁড়টিকে এবারের কোরবানি হাটে বিক্রি করব। গত বছর কোরবানির হাটে দাম আশানুরূপ না পাওয়ায় বিক্রি করিনি। আশা করি এ বছর ভালো দাম পাব।

রাজবাড়ী সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. খায়ের উদ্দীন আহমেদ বলেন, জেলার মধ্যে এবার সবচেয়ে বড় গরু হলো রাজবাড়ীর সুচিন্ত্য সেনের ষাঁড় সিংহরাজ। গত ৩ বছর ধরে আমরা লক্ষ্য করছি, বড় গরুর চেয়ে মাঝারি আঁকারের ষাঁড়ের চাহিদা বেশি। এ জন্য খামারিদের আমরা মাঝারি ষাঁড় গরু পালনের নির্দেশনা দিচ্ছি। যাতে খামারি সেটি খুব সহজেই বিক্রি করতে পারেন।  

news24bd.tv/আইএএম

এই রকম আরও টপিক