পাঁচজনকে হত্যার দায়ে জনসম্মুখে গুলি চালিয়ে খুনের আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার। মঙ্গলবার (২০ জুন) দেশটির লাঘমান প্রদেশের একটি মসজিদ চত্বরে এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। খবর এনডিটিভির।
ক্ষমতায় আসার পর এ নিয়ে হত্যার দায়ে প্রকাশ্যে দুজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে তালেবান।
এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে প্রাদেশিক তথ্য কর্মকর্তারা বলেন, লাঘমান প্রদেশের সুলতান গাজি বাবা শহরে জনসম্মুখে অভিযুক্ত ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। অন্যদের জন্য শিক্ষামূলক এবং আসামি যেন কষ্ট পায়–সে জন্যই প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
তালেবানের কর্মকর্তারা বলেন, মঙ্গলবার যে ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে তার নাম আজমল। তিনি পাঁচজনকে হত্যা করেছিলেন।
লাঘমানের প্রাদেশিক তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের এক কর্মকর্তা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, আজমলের হাতে নিহতদের আত্মীয়স্বজনসহ প্রায় দুই হাজার মানুষ তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর সরাসরি দেখেছেন। শরিয়া আইন অনুযায়ী আজমলের সর্বোচ্চ সাজা কার্যকর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আজমলকে একে-৪৭ থেকে গুলি করা হয়েছে। নিহতদের স্বজনের পরিবর্তে একজন জল্লাদ তাকে গুলি করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আজমল যাদের হত্যা করেছিল তাদের পরিবার ক্ষমা না করায় আমি ‘খুনের বদলা খুন’-এর সাজা কার্যকর করতে দেখেছি। আমি যদি ভুল না করি, তাহলে তাকে ছয়বার গুলি করা হয়েছে। পরে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ’
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবানের প্রথম শাসনামলের সময় প্রায়ই প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল। ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় ফিরে এসে গত বছরের ডিসেম্বরে ফারাহ প্রদেশে প্রথমবারের মতো এক ব্যক্তির প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছিল তালেবান।
চুরি, ব্যভিচার এবং মদ্যপানসহ অন্যান্য অপরাধের দায়ে আফগানিস্তানে নিয়মিত প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করার বিধান চালু রয়েছে।
news24bd.tvতৌহিদ
