পানি বাড়ছে, ঈদের আগে উৎকণ্ঠায় তিস্তা পাড়ের মানুষ 

সংগৃহীত ছবি

পানি বাড়ছে, ঈদের আগে উৎকণ্ঠায় তিস্তা পাড়ের মানুষ 

অনলাইন ডেস্ক

আর সপ্তাহ খানেক পরেই ঈদুল আজহা। কোরবানি আর আনন্দের সময়। কিন্তু এমন এক মুহূর্তের আগে রংপুরের তিস্তা নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হু হু করে পানি বাড়ছে। তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে থাকলেও আগামীকাল বুধবার সকালে পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করতে পারে।

এ অবস্থায় পবিত্র ঈদুল আজহার আগে তিস্তার তীরের বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) রংপুর কার্যালয় জানায়, আজ মঙ্গলবার বেলা একটায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচে অবস্থান করছে। উজানে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় তিস্তায় পানি বেড়ে কাল (বুধবার) সকালের মধ্যে বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করতে পারে। তিস্তা ছাড়াও কুড়িগ্রামের ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি অব্যাহতভাবে বাড়তে পারে।

তিস্তা নদী-তীরবর্তী রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের চরাঞ্চলের মানুষজনের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। পানিবন্দী হওয়ার আশঙ্কায় নিরাপদ স্থানে যেতে প্রস্তুতিও নিচ্ছেন চরাঞ্চলের বাসিন্দারা।

এলাকাবাসী জানায়, গতকাল সোমবার রাতে তিস্তায় পানি বাড়লেও আজ সকালে কমেছে। আজ রাতের যেকোনো সময়ে আবার পানি বেড়ে যেতে পারে। ইতোমধ্যে তিস্তার তীরের কয়েকটি এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।

বাঁধের পাড়ে ইছলি গ্রামের নূরুল হুদা জানান, আগে বন্যা হতো একবার। গত বছর থেকে কয়েকবার পানি বাড়ে আর কমে। এ জন্য চরের মানুষের বেশ কষ্ট হচ্ছে। এবার মনে হচ্ছে আগেই পানি আসবে। এ জন্য জায়গা দেখতে আসছি। ’ 

একই এলাকার মোস্তাফিজার রহমান, হোসেন আলী, মজিবর রহমান, ফজলুর রহমানসহ কয়েকজন জানান, গতরাতে হঠাৎ নদীর পানি বেড়ে তাঁদের বাড়িতে ওঠে। সেই পানি সকালের মধ্যে নেমেও যায়। আবার রাতে পানি বাড়ার কথা জানিয়েছেন চেয়ারম্যান। তাঁরা নিরাপদ স্থানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল্লাহেল হাদী গণমাধ্যমকে বলেন, ভারতের উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নেমে আসছে। মানুষকে পানিবন্দি থেকে রক্ষা করতে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সহায়তার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ঈদের আগে এবার চরবাসীর কষ্ট বেড়ে যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

পাউবোর রংপুর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলেন, ভারতের পাহাড়ি ঢল নামতে শুরু করেছে। এ কারণে তিস্তায় পানি বেড়ে যেতে পারে। পানির স্রোতের¯কারণে নিয়মানুযায়ী তিস্তা ব্যারাজের সব কটি (৪৪) জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।

news24bd.tv/আইএএম

এই রকম আরও টপিক