ব্রুনা বিয়ানকার্দির সঙ্গে নেইমারের মন দেওয়া-নেওয়া শুরু ২০২১ সাল থেকে। তবে গত বছরের আগস্টে ভেঙে যায় তাদের সম্পর্ক। এরপর এ জুটি আবার এক হন প্রেমের টানে। গত এপ্রিলে বিয়ানকার্দির বেবি বাম্পের ছবি দিয়ে নেইমার ঘোষণাও দেন, আবার বাবা হতে যাচ্ছেন তিনি।
গত মঙ্গলবার আবার মোড় নেয় এ সম্পর্ক। ব্রাজিলিয়ান সংবাদকর্মী এরলান বাস্তোস জানান, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ইনফ্লুয়েন্সার ফের্নান্দো কাম্পোসের সঙ্গে প্রেম করছেন নেইমার। বাস্তোস আরও দাবি করেন, বিয়ানকার্দির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে একটি ‘চুক্তি’ আছে নেইমারের। পিএসজি তারকা চাইলে অন্য কারও সঙ্গে প্রেম করতে পারবেন, চুক্তিতে নাকি এও আছে।
বাস্তোসের এ দাবি প্রকাশ্যে আসতেই বিয়ানকার্দি তা অস্বীকার করে। ঘোষণা দেন, বাস্তোসের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার।
কিন্তু নেইমার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেভাবে বিয়ানকার্দির কাছে ক্ষমা চাইলেন, তাতে বাস্তোসের দাবি সত্যি ধরেই নেওয়া যায়। বাস্তোসের ওই খবর প্রকাশ্যে আসার পর ইনস্টাগ্রামে একটি খোলা চিঠিটি পোস্ট করেন নেইমার। যেখানে তিনি জানান, প্রেমিকা বিয়ানকার্দির সঙ্গে তিনি ঠিক কাজ করেননি।
নেইমার লেখেন, ‘ব্রুনা, আমি এটা তোমাদের (বিয়ানকার্দি এবং সন্তান) জন্য করছি। অসমর্থনীয় বিষয়কে যৌক্তিক বানানোর চেষ্টা করছি। এটা করার প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু তোমাকে আমার জীবনে প্রয়োজন। আমি জানি, এসব ঘটনায় তুমি কতটা ভুগছ এবং কতটা আমার পাশে থাকতে চাও। আমিও তোমার পাশে আছি। আমি ভুল করেছি। তোমার সঙ্গে ঠিক কাজটা করিনি। ’
নেইমারের চিঠির এই প্রথম অংশটুকু পড়েই আন্দাজ করে নেওয়া যায় এরলান বাস্তোসের দাবি সম্ভবত ঠিক। এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ার পর নেইমার সম্ভবত অনুশোচনাবোধ থেকে এই চিঠি পোস্ট করেছেন ইনস্টাগ্রামে।
চিঠির বাকি অংশে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড লিখেছেন, ‘বলতে ভয় নেই, আমি প্রতিদিনই ভুল করি। সেটা মাঠ ও মাঠের বাইরে। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনের ভুলগুলো আমি ঘরে বসে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে ঠিক করি। আর এ সবকিছুই আমার জীবনে অন্যতম বিশেষ মানুষটির জন্য। আর সেই মানুষটি আমার স্বপ্নের নারী, আমার সন্তানের মা। বিষয়টি তার পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা এখন আমার পরিবারও। ’
ফের্নান্দো কাম্পোসের সঙ্গে সংবাদমাধ্যমে নেইমারের প্রেমের গুঞ্জন চলছে বেশ কদিন ধরেই। এ কারণে নিজেদের ভাবমূর্তি যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সেটা বোঝেন নেইমার। আর তাই সে জন্যও ক্ষমা চেয়েছেন, ‘ব্রুনা, নিজের ভুলের জন্য আমি আগেই ক্ষমা চেয়েছি। অকারণে যে গুঞ্জন চলছে সে জন্য। কিন্তু আমি সবার সামনেই স্বীকার করছি, ব্যক্তিগত কোনো বিষয় যখন সামনে চলে আসে, তখন সে বিষয়ে সবার সামনেই ক্ষমা চাওয়া উচিত। তোমাকে ছাড়া আমি নিজেকে ভাবতে পারি না। অবশ্যই সন্তানের প্রতি আমাদের ভালোবাসা এবং যে লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছি, তাতে সফল হতে পারব। একে অপরের প্রতি ভালোবাসাই আমাদের আরও শক্তিশালী করবে। ’
নেইমারের বাবা নেইমার সান্তোস সিনিয়র তার ছেলের এই পোস্টে মন্তব্য করেছেন। সিনিয়রের মন্তব্যটা দার্শনিকসুলভ, ‘এটাই...আমরা সব সময় জীবন থেকে শিখি। অভিনন্দন (ভালোবাসা)। ’
news24bd.tv/SHS
