পাকিস্তানে সামরিক আদালতে বেসামরিক ব্যক্তির বিচারকে চ্যালেঞ্জ

পাকিস্তানে সামরিক আদালতে বেসামরিক ব্যক্তির বিচারকে চ্যালেঞ্জ

অনলাইন ডেস্ক

পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের গ্রেপ্তারের পরে দেশে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পরে ৯ মে-এর পরে দেশে গ্রেপ্তার হওয়া সকলের রেকর্ড চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (এসসি)।

সামরিক আদালতে বেসামরিক ব্যক্তিদের বিচারকে চ্যালেঞ্জ করে নয় সদস্যের বেঞ্চ থেকে নেমে নবগঠিত সাত সদস্যের বেঞ্চ এই নির্দেশনা দেয়।

এর আগে আজ পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়াল, বিচারপতি ঈসা, বিচারপতি মাসুদ, বিচারপতি ইজাজুল আহসান, বিচারপতি সৈয়দ মনসুর আলী শাহ, বিচারপতি মুনিব আখতার, বিচারপতি ইয়াহা আফ্রিদি, বিচারপতি সৈয়দ মাজাহার আলী আকবর নকভির সমন্বয়ে গঠিত নয় সদস্যের বেঞ্চ এবং বিচারপতি আয়েশা মালিক মামলাটি গ্রহণ করেছিলেন।

আবেদনের শুনানির জন্য এর আগে নয় সদস্যের একটি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছিল, কিন্তু বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসা এবং বিচারপতি তারিক মাসুদ বেঞ্চ গঠনে আপত্তি জানান।

সিনিয়র পুইসনের বিচারক বিচারপতি ফয়েজ ইসা বলেছেন, তিনি নয় সদস্যের বেঞ্চকে বেঞ্চ মনে করেননি, বিচারপতি মাসুদ তাকে সমর্থন করেছিলেন।

বিচারপতি ইসা জোর দিয়েছিলেন আদালতের প্রথমে সুপ্রিম কোর্টের অনুশীলন এবং পদ্ধতি আইন, ২০২৩ এর উপর একটি রায় জারি করা উচিত এবং তারপরে নতুন বেঞ্চ গঠন করা উচিত।

এসসির আট সদস্যের একটি বৃহত্তর বেঞ্চ ১৩ এপ্রিল আদেশ দিয়েছিল অনুশীলন এবং কার্যপ্রণালী আইন রাষ্ট্রপতির সম্মতি পেলেও পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত আইনটি কোনওভাবেই কার্যকর করা হবে না।

বিচারপতি ইসা বলেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রসিডিউর অ্যাক্টের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জারি না হওয়া পর্যন্ত আমি এই আদালতকে গ্রহণ করব না।

এই আইনের রায় জারি না হওয়া পর্যন্ত সমস্ত সিদ্ধান্তই অসাংবিধানিক।

বিচারকের উদ্বেগের জবাবে সিজেপি বন্দিয়াল বলেন, তিনি আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বেঞ্চ গঠন করেছেন।

এরপর সাত সদস্য নিয়ে আবার শুনানি শুরু হয় এবং যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আগামীকাল সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি জাওয়াদ এস খাজা, আইন বিশেষজ্ঞ আইতজাজ আহসান এবং পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অফ লেবার এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের (পিলার) নির্বাহী পরিচালক কারামত আলী পৃথকভাবে দায়ের করা আবেদনগুলো বিচারের বিরুদ্ধে। সামরিক আদালত।

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর সাথে জড়িত ব্যক্তিরা ৯ মে তাদের দলের প্রধানকে গ্রেপ্তারের পর সেনা স্থাপনাগুলোতে আক্রমণ করার পরে সরকার সামরিক আদালতে বেসামরিক ব্যক্তিদের বিচার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সূত্র-জিও নিউজ

news24bd.tv/তৌহিদ