কুড়িগ্রামে বাঁধ ভেঙে ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী

কুড়িগ্রামে বাঁধ ভেঙে ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: 

কুড়িগ্রামে অতি বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাডি ঢলের কারণে নদ-নদীগুলো ফুলে ফেঁপে উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িগ্রামের দুধকুমার নদীর পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার কমে গিয়ে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।  

এছাড়াও ব্রহ্মপূত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৪৫ সেন্টিমিটার, ধরলা নদীর পানি ব্রীজ পয়েন্টে ৪২ সেন্টিমিটার এবং তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া ব্রীজ পয়েন্টে ৭২ সেন্টিমিটার বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গত বুধবার দুধকুমার নদীর তীব্র স্রোতে জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মুডিয়া এলাকায় নির্মানাধীন বাঁধ ছিঁড়ে গেছে।

এতে ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতিতে এবং নদ-নদীতে পানি বাড়ায় প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্ধী হয়ে পরেছে। এছাড়াও নীচু এলাকায় ঢুকতে শুরু করেছে বন্যার পানি।  

ফলে অনেকেই বাড়ীঘর ছেড়ে উঁচু বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।

এছাড়াও পটল, বেগুনসহ সবজি ও বীজতলা তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন চরের দরিদ্র চাষিরা। গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগী নিয়ে বিপাকে পড়েছেন নদীতীরের মানুষরা। পাড় ভেঙে বেশ কিছু পুকুরের মাছ গেছে ভেসে।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার সরকার জানান, বিভিন্ন নদ-নদীতে পানিবৃদ্ধির ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে করে আমাদের ২০হেক্টর বীজতলা, ২৫ হেক্টর শাকসবজী এবং ১শ’ হেক্টর পাট নিমজ্জিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের দক্ষিণ ছড়ারপাড়ে পানিবন্দীদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে জানান, আমাদের সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে।  

সব সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলোকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসনে এক হাজার শুকনো প্যাকেট, ৫৪১ মে. টন চাল ও নগদ ১০ লাখ ২১ হাজার টাকা মজুদ রয়েছে।

news24bd.tv/কামরুল