নিখোঁজ সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষস্থলের সন্ধান মিললো

সংগৃহীত ছবি

নিখোঁজ সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষস্থলের সন্ধান মিললো

অনলাইন ডেস্ক

আটলান্টিকের তলদেশে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে নিখোঁজ সাবমেরিন টাইটানের ধ্বংসাবশেষস্থলের (ডেবরিস ফিল্ড) সন্ধান মিলেছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় সময় বুধবার (২২ জুন) বিকেল ৩টায় মার্কিন কোস্টগার্ডের প্রেস ব্রিফিং করার কথা রয়েছে। ব্রিফ করবেন মার্কিন কোস্টগার্ডের ক্যাপ্টেন জেমি ফ্রেড্রিক ও রিয়ার এডমিরাল জন মাউজার।

জানা গেছে, রোবটচালিত জলযান ‘রোভ’র মাধ্যমে টাইটানের ধ্বংসাবশেষস্থলের সন্ধান পাওয়া গেছে।

তবে এখনও ওই ধ্বংসাবশেষের কোনো ছবি পাওয়া যায়নি।

মার্কিন কোস্টগার্ডের বিশেষজ্ঞ দল রোবটচালিত জলযান থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করছেন। সাবমেরিনটিতে মজুত অক্সিজেন একেবারে শেষ পর্যায়ে বলে জানিয়েছেন তারা। সাবমেরিনটি খুঁজতে এ মিশনে জাহাজ, ডুবোজাহাজ ও বিমানের পাশাপাশি অনুসন্ধান অভিযানে যুক্ত করা হয়ে তিনটি রোবটচালিত জলযান।

কোস্টগার্ড জানিয়েছে, টাইটান অনুসন্ধানে যে তিনটি রোবট ব্যবহার করা হচ্ছে তার মধ্যে দুটি গভীর সমুদ্রের তলদেশে অনুসন্ধান চালাতে বিশেষভাবে দক্ষ। অপরটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি সমুদ্রপৃষ্ঠে চলাচলকারী একটি নৌযান। রোবটচালিত জলযানগুলোর নাম রিমোটলি অপারেটেড ভেহিকল, সংক্ষেপে ‘রোভ’।

কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড যৌথভাবে রোভ দুটি পরিচালনা করছে। সাবমেরিনটি উদ্ধারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার নৌবাহিনীসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশেষায়িত সংস্থা যোগ দিয়েছে। কাজ করছে ১২টি জাহাজ ও সামরিক বিমান। ব্যবহার করা হচ্ছে ‘সোনোবয়া’, যা দিয়ে সাগরের অনেক নিচে থাকা বস্তুর অবস্থান নির্ণয় করা হয়।

গত রোববার (১৮ জুন) আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে থাকা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে পর্যটকদের নিয়ে রওনা দেয় ‘টাইটান’ নামের সাবমেরিনটি। তবে এর কিছুক্ষণ পরেই ঘটে বিপত্তি। কারণ সাগরে ডুব দেওয়ার এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর ছোট আকারের ওই ডুবোজাহাজটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় মাদার ভেসেল পোলার প্রিন্সের।

news24bd.tv/FA