নির্বাচনকালীন সরকারের ৯ রূপরেখা ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের

নির্বাচনকালীন সরকারের ৯ রূপরেখা ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। শনিবার (২৪ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে এ রূপরেখা তুলে ধরেন দলটির আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

বর্তমানে ‘বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণ এবং একটি সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্যে করণীয়’ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এসময় রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাসহ দেশের শীর্ষ ওলামা শায়েখ, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী আন্দোলন কর্তৃক ঘোষিত জাতীয় সরকারের প্রস্তাবিত রূপরেখা

১. আপিল বিভাগের একজন বিজ্ঞ, সৎ, যোগ্য ও গ্রহণযোগ্য বিচারপতিকে প্রধান করে নিবন্ধিত দলগুলোর প্রতিনিধি নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন হবে।

২. যারা জাতীয় সরকারে থাকবেন, তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

৩. জাতীয় সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে।

৪. জাতীয় সরকার গঠিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বর্তমান জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে।

৫. সংসদ ভেঙ্গে দেওয়ার পাশাপাশি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।

৬. জাতীয় সরকার গঠিত হওয়ার পরবর্তী ৩ মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবেন। কোনো কারণে তা সম্ভব না হলে পরবর্তী ৩ মাসের মধ্যে অবশ্যই নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

৭. জাতীয় সরকার গঠিত হওয়ার পর নির্বাচন কমিশন ভেঙ্গে দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।

৮. বর্তমান মন্ত্রিসভার কেউই নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারে থাকতে পারবেন না।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ আরও অনেক রাজনৈতিক নেতারা।

আরও পড়ুন: ইসলামি আন্দোলনকে ধন্যবাদ জানালো বিএনপি

সভায় ইসলামী আন্দোলনের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাইসহ আরও অনেকে। এসময় মুফতি ফয়জুল বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে আমরা কেউ নির্বাচন চাই না। এজন্য কর্মসূচি ঘোষণা করবে ইসলামি আন্দোলন।

news24bd.tv/FA