ইরানের চারটি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। গতকাল (শুক্রবার) ইউরোপিয়ান কাউন্সিল এই নিষেধাজ্ঞার অনুমোদন দেয়। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে রাশিয়াকে প্রাণঘাতী ড্রোন সরবরাহের অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় বলে উল্লেখ করা হয়।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানায়, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভিযান শুরু করার পর মস্কোর বিরুদ্ধে ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ১১তম দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং তার অংশ হিসেবে ইরানের কোম্পানিগুলোর ওপরও বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়।
শুক্রবার ইউরোপিয়ান কাউন্সিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৮৭টি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, তারা সরাসরি রাশিয়ার সামরিক এবং শিল্প কমপ্লেক্সগুলোকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। বিশ্বের এসব কোম্পানি পণ্য এবং প্রযুক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় পড়বে।
ইরানের যে চারটি কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে সেগুলোর বিরুদ্ধে ইউরোপিয়ান কাউন্সিল অভিযোগ করেছে যে, তারা ড্রোন তৈরি করে এবং সেগুলো রাশিয়ায় সরবরাহ করে।
বিশ্বের এই ৮৭টি কোম্পানির বিরুদ্ধে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন অভিযোগ করেছে যে, তারা ইউক্রেনের ভৌগোলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতা হুমকির মুখে ফেলার জন্য দায়ী।
রাশিয়াকে প্রাণঘাতী ড্রোন সরবরাহের ব্যাপারে ইরানের বিরুদ্ধে যতবারই পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে অভিযোগ আনা হয়েছে, তেহরান ততবার এই অভিযোগ নাকচ করেছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর কিছুদিন পর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান জানিয়েছিলেন, রাশিয়া ইরানের যে কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করছে তা যুদ্ধ শুরুর অনেক আগেই দেয়া হয়েছিল, যুদ্ধ শুরুর পর কোনো ড্রোন রাশিয়াকে দেওয়া হয়নি।
news24bd.tvতৌহিদ