‌‘ভাড়াটে সেনাবাহিনী’ ওয়াগনার আসলে কারা?

সংগৃহীত ছবি

‌‘ভাড়াটে সেনাবাহিনী’ ওয়াগনার আসলে কারা?

অনলাইন ডেস্ক

বেশ কয়েকমাস ধরেই রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনারের সঙ্গে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল, যা রূপ নিয়েছে বিদ্রোহে। ভাড়াটে সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা ও নেতা ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন সশস্ত্র বিদ্রোহে লিপ্ত হয়েছেন এই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে ক্রেমলিন।  

তাদের বিষয়ে বিবিসির এক অনুসন্ধানে বলা হয়, চেচনিয়ায় যুদ্ধ করা একজন রুশ সেনা কর্মকর্তা দিমিত্রি উটকিন সম্ভবত এই বাহিনী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তবে বর্তমানে এর প্রধান হচ্ছে ধনী ব্যবসায়ী ইয়েভগেনি প্রিগোশিন – যাকে পুতিনের রাঁধুনী বলা হয়।

কারণ এক সময় তিনি ক্রেমলিনের জন্য খাবার সরবরাহ করতেন।

ক্রিমিয়া দখলের জন্য রাশিয়ার ২০১৪ সালের যুদ্ধে ওয়াগনার গ্রুপের যোদ্ধারা প্রথম ভুমিকা পালন করে। এরপর ২০১৫ সালে সিরিয়াতে সরকারসমর্থক বাহিনীর পাশাপাশি থেকে যুদ্ধ করে ওয়াগনার বাহিনী এবং সে সময় তারা তেলের খনিগুলোও পাহারা দিত।

আরও পড়ুন : ‘ভাড়াটে সেনাবাহিনীর’ বিদ্রোহ দমনে প্রস্তুত চেচেন বাহিনী

তা ছাড়া ওয়াগনার বাহিনী ভাড়াটি সৈন্যরা লিবিয়ায় জেনারেল খলিফা হাফতারের সহযোগী হিসেবে এবং মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে হীরার খনি পাহারা দিতে কাজ করে।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির সরকার স্থানীয় উগ্রবাদী গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ওয়াগনার বাহিনীকে কাজে লাগাচ্ছে।

ধারণা করা হয়, সুদানে সোনার খনি পাহারা দেওয়ার কাজ করছে ওয়াগনার বাহিনীর যোদ্ধারা।

মার্কিন সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধরত রুশ বাহিনীর প্রায় ১০ শতাংশ হচ্ছে ওয়াগনার গ্রুপের যোদ্ধা।

আরও পড়ুন : পুতিনকে উৎখাতের হুমকি ‘ভাড়াটে সেনাবাহিনীর’

এর মধ্যে হাজার হাজার যোদ্ধা এসেছে রাশিয়ার কারাগারগুলোতে থাকা বন্দীদের মধ্যে থেকে।

প্রথমদিকে তাদের সৈন্য সংখ্যা ছিল মাত্র ৫,০০০ – যাদের অধিকাংশই ছিল বিভিন্ন রেজিমেন্টের সাবেক সৈন্য।

তবে যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তারা বলেন, ক্রেমলিন নিয়মিত বাহিনীর জন্য লোক পেতে সমস্যায় পড়ার পর এই ওয়াগনার বাহিনী বড় সংখ্যায় সেনা নিয়োগ শুরু করে।

সূত্র : বিবিসি

News24bd.tv/aa