শিশু হাসপাতালে সুশাসন ও শুদ্ধাচার’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

সংগৃহীত ছবি

শিশু হাসপাতালে সুশাসন ও শুদ্ধাচার’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

অনলাইন ডেস্ক

সুশাসনের প্রধান মানদন্ড শুদ্ধাচার কৌশল। প্রত্যেকের চরিত্রের মধ্যে শুদ্ধতা আনতে হবে, নৈতিকতার চর্চা করতে হবে, সততা থাকতে হবে। যে কোনো প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য শুদ্ধাচারের প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি। তাছাড়া সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে সবাইকে সুশাসন ও শুদ্ধাচার নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

 ১৯৭৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের উন্নয়নে মানুষের চরিত্র ঠিক করার তাগিদ দেন। যা বর্তমানে বিশ্বব্যাপী জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের অন্তর্ভুক্ত।

রবিবার (২৫ জুন) বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘সুশাসন ও শুদ্ধাচার’ শীর্ষক এক ব্যতিক্রমী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।  

বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট পরিচালনা বোর্ডের সদস্য, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের যুগ্ন সচিব (বাজেট-৫) ড. আব্দুর রহিম।

 

তিনি জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল অনুযায়ী সুশাসনের ক্ষেত্রসমূহ এবং সুশাসন নিশ্চিতকরণে শুদ্ধাচারের ভুমিকা নিয়ে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের সেবিকাগণকে দুই ঘন্টা ব্যাপী শুদ্ধাচার বাস্তবায়ন কৌশল বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে হাসপাতালের অধ্যাপকগণসহ বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসক, কর্মকর্তা, সেবিকা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ড. আব্দুর রহিম বলেন, যে শাসন ব্যবস্থায় আইনের শাসন, দায়িত্বশীলতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ এবং গণতান্ত্রিক উপায়ে জনগণের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত হয়, তা-ই সুশাসন।  

অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হাসপাতালের মতো সেবামূলক প্রতিষ্ঠানসমূহে সুশাসন ও শুদ্ধাচার-দুটোই খুব জরুরী। মানুষকে সেবা দিতে গিয়ে আমাদের সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। কেউ যেন আমাদের আচরণে ব্যাথিত না হয় সেই বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমরা হয়তো সবাইকে চিকিৎসা সেবা দিতে পারবো না, কিন্তু বিষয়টি ভদ্রভাবে বুঝিয়ে বলতে হবে। সেবাগ্রহীতা কেউ যেন আমাদের ব্যবহার দ্বারা কষ্ট না পায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে।