চীনে মরণব্যাধি এইচআইভি এইডস রোগীর সংখ্যা প্রতি একশ জনে ১৪ জন বেড়েছে। দেশটিতে ৮ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ এইডসে আক্রান্ত। চীনের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে। সমকামিতা বাড়ায় দেশটিতে এইডস বাড়ছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
প্রতিবেদনের চিত্র উল্লেখ করে চীনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, দেশটিতে ২০১৮ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রায় ৪০ হাজার নতুন মামলা হয়েছিল। এসব মামলার বেশিরভাগই যৌনতার অভিযোগে করা।
প্রচলিতভাবে এইচআইভি সংক্রামিত রক্ত মানবদেহে সংক্রমণের ফলে চীনের কিছু অংশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ইউনান প্রদেশের একটি কনফারেন্সে চীনা স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেন, এভাবে এইচআইভি সংক্রমণের সংখ্যা প্রায়শই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, যৌনতার মাধ্যমে এইচআইভি সংক্রমণ চীন এর এলজিবিটি সম্প্রদায়ের একটি গুরুতর সমস্যা। চীনে ১৯৯৭ সালে সমকামিতাকে অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। কিন্তু এর ফলে সমকামী মানুষের বিরুদ্ধে বৈষম্য ছড়িয়ে পড়ে।
২০০৩ সাল থেকে চীন সরকার এই সমস্যা মোকাবেলায় প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এইচআইভি ওষুধের সর্বজনীন পর্যাপ্ততার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
১৯৮৫ সালে চীনে প্রথম এইডস রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর বহু গবেষণায় উঠে আসে, প্রায় ৯০% ক্ষেত্রে এইডসের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণ অবৈধ যৌনমিলন। এরপরেই রয়েছে মায়ের কাছ থেকে সন্তানের দেহে সংক্রমণ এবং সুচের মাধ্যমে প্রবেশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) চীনা প্রতিনিধি ব্যার্নহার্ড শোয়ার্টল্যান্ডার তার এক প্রবন্ধে এইডস মোকাবেলায় সরকারের নেয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করলেও আরও অনেক কিছু করতে হবে বলে মন্তব্য করেন৷ বিশেষ করে সমকামী ও যৌনকর্মীদের মধ্যে যেন এইডসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখার তাগিদ দেন।
এছাড়া যারা এইডস আক্রান্ত, তাদেরকে যেন বৈষম্যের চোখে দেখা না হয় সেটাও নিশ্চিত করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
সূত্র: বিবিসি, মেডিকেল এক্সপ্রেস, সিনহুয়া
অরিন▐ NEWS24