‘গায়েবি’ মামলা নিয়ে হাইকোর্টের দ্বিধাবিভক্ত আদেশ

ফাইল ছবি

‘গায়েবি’ মামলা নিয়ে হাইকোর্টের দ্বিধাবিভক্ত আদেশ

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

সুপ্রীম কোর্টে সিনিয়র আইনজীবীসহ সারাদেশে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি ও মিথ্যা মামলা বন্ধের ক্ষেত্রে করা রীট আবেদনের শুনানি শেষে দ্বিধাবিভক্ত রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে নিয়ম অনুসারে মামলাটি প্রধান বিচারপতির কাছে গেলে পরে তিনি শুনানির জন্য অন্য বেঞ্চ গঠন করে দেবেন।

মঙ্গলবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।

তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, মো. মাসুদ রানা, ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান প্রমুখ।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল।

এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট এ কে খান।

জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, সানাউল্লাহ মিয়ার পক্ষে এই রিট দায়ের করা হয়।

গত ২২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটের আবেদন করা হয়। রিটে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সারাদেশে বিএনপির জ্যেষ্ঠ আইনজীবীসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে করা চার হাজার মামলা এবং তিন লাখেরও বেশি লোককে আসামি করার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে।

 একইসঙ্গে, এ বিষয়ে অনুসন্ধান করার জন্য স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

এছাড়া, আওয়ামী লীগ ব্যতীত অন্যান্য দলের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত যত গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর তদন্ত বন্ধ এবং এসব গায়েবি মামলার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কমিটি গঠন করে ঘটনার তদন্ত এবং তাদের বিরুদ্ধে পরে যেন এ ধরনের মামলা দেওয়া না হয়, তার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ব্যতীত অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অগণিত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশি ক্ষমতার অপব্যবহার করে গায়েবি বা আজগুবি মামলা দায়ের করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, রিটে সে বিষয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছিল।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজি, ডিএমপি কমিশনার, ডিএমপি রমনা জোনের ডেপুটি ও অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার, রমনা, পল্টন ও শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ মোট নয়জনকে রিটে বিবাদী করা হয়।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর