টাইব্রেকারে ট্রফি খোয়ালো বাংলাদেশ

সংগৃহীত ছবি

টাইব্রেকারে ট্রফি খোয়ালো বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক

বর্তমান সাফ নারী চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। তবে গত বছরের সেপ্টেম্বরে যে নেপালকে হারিয়ে দক্ষিণ এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট মাথায় তুলেছে সাবিনারা, সেই নেপালের কাছেই এবার ঘরের মাঠে সিরিজ খোয়ালো তারা। দলটির বিপক্ষে দুই ম্যাচের ফিফা প্রীতি ম্যাচ সিরিজ ১-০ তে হেরে ট্রফি খুইয়েছে বাংলাদেশ।

আজ রোববার কমলাপুর স্টেডিয়ামে নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্য থাকায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।

সেখানে ৪-২ গোলের জয় পায় নেপাল। প্রথম ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল।

শেষ ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ালে শিউলি আজিম এবং মারিয়া মান্ডা গোল করতে ব্যর্থ হন। অন্যদিকে নেপালের পক্ষে পেনাল্টি মিস করেন দলের বদলি গোলরক্ষক অঞ্জনা রানা মাগার।

নেপালের হয়ে গোল করেন সাবিত্রা ভাণ্ডারী, হীরা কুমারী, দীপা সাই এবং আনীতা। বাংলাদেশের হয়ে পেনাল্টি থেকে স্কোর করেন সামসুন্নাহার এবং মনিকা চাকমা।

ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো বাংলাদেশ। বক্সের বাইরে ফ্রি কিক পায় বাংলাদেশ। ছোট করে সাবিনার উদ্দেশ্যে পাস দেন মনিকা। সাবিনার শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান নেপালের গোলরক্ষক আনজিলা তুমবাপো সুবা। ফিরতি বলে জটলা থেকে গোল করার চেষ্টা করলেও অফ সাইডের বাঁশি বাজান রেফারি।  

ষষ্ঠ মিনিটে নেপালের সাবিত্রা ভান্ডারির শট ক্রস বারের উপর দিয়ে চলে যায়।

৩৬ মিনিটে প্রায় মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন মারিয়া মান্ডা। নেপালের তিন ডিফেন্ডারকের কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত নেপালের ডিফেন্ডারের ট্যাকলে বল হারান তিনি। ৪৩ মিনিটে বাংলাদেশের ভুল পাসের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে যান নেপালের সাবিত্রা ভাণ্ডারী। তবে তার শট সহজেই তালুবন্দী করেন গোলরক্ষক রূপনা চাকমা। পরের মিনিটেই সাবিত্রার আরেকটি শট ফিরিয়ে দেন তিনি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তিন পরিবর্তন আনা হয় বাংলাদেশের স্কোয়াডে। সানজিদা আক্তার, কৃষ্ণা রানী, তহুরা খাতুনকে উঠিয়ে নেয়া হয়। তাদের পরিবর্তে মাঠে নামেন ঋতুপর্ণা চাকমা, শাহেদা আক্তার রিপা এবং মাতসুসিমা সুমাইয়া। তিন বদলি নিয়ে খেলার গতিতে কিছুটা পরিবর্তন আসে। বাংলাদেশের আক্রমণে ধার বাড়ে। তবে গোলমুখ খুলতে পারছিলেন না তারা।

ম্যাচ যখন নিশ্চিত টাইব্রেকারের দিকে এগিয়ে যচ্ছিল তখনই গোলরক্ষক পরিবর্তন করে নেপাল। আনজিলাকে উঠিয়ে অঞ্জনা রানা মাগারকে মাঠে নামান নেপাল কোচ রাজ থাপা।