দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ হিসেবে গর্বে আমার বুক ভরে ওঠে: মীর নাসির হোসেন

মীর নাসির হোসেন, সাবেক সভাপতি, এফবিসিসিআই।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ হিসেবে গর্বে আমার বুক ভরে ওঠে: মীর নাসির হোসেন

অনলাইন ডেস্ক

দেশ থেকে প্রতি বছর বায়রা এবং সরকারের মাধ্যমে জনশক্তি রপ্তানি হয়। তাদের পাঠানোর সময় ওই কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যদি চুক্তি করা যায় যে, তারা যা বেতন পাবেন সব ব্যাংকিং চ্যানেল দিয়ে আসতে হবে। একটা বড় অঙ্কের টাকা হুন্ডির মাধ্যমে আসে, আমরা রিজার্ভ থেকে বঞ্চিত হই। আশা করি এটা আপনি বিবেচনা করবেন।

ভোলায় গ্যাসের যে সম্ভাবনা দেখছি তাতে সংকট কেটে যাবে। বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। এফবিসিসিআই আয়োজিত ব্যবসায়ী সম্মেলনে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন এসব কথা বলেন।

এফবিসিসিআইয়ের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আজকের এই দিনে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

তাঁর জন্য আমরা এ দেশ পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী গত ১৪ বছরে যে উন্নয়ন করেছেন তা অভাবনীয়। যে মেগা প্রকল্পগুলো হয়েছে পায়রা বন্দর, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর- এগুলো নিজস্ব ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা তৈরি করেছে। আমরা পেয়েছি স্বপ্নের পদ্মা সেতু। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ হিসেবে গর্বে আমার বুক ভরে ওঠে। তখন স্মরণ করি প্রধানমন্ত্রী আপনাকে। আপনার দৃঢ়তা, প্রজ্ঞা, সাহসিকতার জন্য পদ্মা সেতু আজ বাস্তবে রূপান্তরিত হয়েছে। এ সেতু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের পথ দেখাবে। পদ্মার ওপারে ইকোনমিক জোন এবং গ্যাস সংযোগ পেলে এই অবহেলিত জনপদের মানুষ অর্থনৈতিক সুবিধা পাবে।

তিনি বলেন, আমরা যে ডলারের সংকটে পড়েছি, সরকার এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে আমার কিছু পরামর্শ রয়েছে- দেশ থেকে প্রতি বছর বায়রা এবং সরকারের মাধ্যমে জনশক্তি রপ্তানি হয়। তাদের পাঠানোর সময় ওই কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যদি চুক্তি করা যায় যে, তারা যা বেতন পাবেন সব ব্যাংকিং চ্যানেল দিয়ে আসতে হবে। একটা বড় অঙ্কের টাকা হুন্ডির মাধ্যমে আসে, আমরা রিজার্ভ থেকে বঞ্চিত হই। আশা করি এটা আপনি বিবেচনা করবেন। ভোলায় গ্যাসের যে সম্ভাবনা দেখছি তাতে সংকট কেটে যাবে। বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। বাজেটে এবার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে ৪ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। প্রতি বছর এটা বাড়ছে এবং বাড়বেই। কারণ অর্থনীতি বাড়ছে, বাজেটের আকারও বাড়ছে। কিন্তু এনবিআরের সক্ষমতা গড়ে ওঠেনি সেটা পূরণ করার মতো।

তিনি আরও বলেন, এ বছর ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৪৪ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি রয়েছে রাজস্ব আয়ে। কারণ আমরা এ প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলতে পারিনি। আমাদের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলারের ওপরে। কিন্তু আমাদের ৩০-৪০ লাখ মানুষ কর দেয়। এটা জাতির জন্য কলঙ্ক। এটা এ অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে কম। নেপালের চেয়েও কম। তাই আমি মনে করি এনবিআরকে ঢেলে সাজাতে হবে। অটোমেশন করতে হবে দ্রুত। কর সংগ্রহের জন্য এজেন্ট নিয়োগ করে মধ্যস্বত্বভোগী সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমি শুনেছি, ইনকাম ট্যাক্স আইনে পিতার দায় পুত্রের ওপরে বর্তাবে। বিদায় হজে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর যে বক্তব্যে পরিষ্কারভাবে বলা আছে, যার অপরাধ তার জন্য সে-ই দায়ী, পিতার অপরাধের জন্য পুত্র দায়ী নয়। তাই আমি মনে করি একটা করবান্ধব আইন প্রয়োজন।