২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার রায় ঘোষণার পর বগুড়ার শাজাহানপুরে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ওই বাসের ৩ নারী যাত্রী। তাদের উদ্ধার করে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এদিকে, বোমা নিক্ষেপ করে পালাতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে জেলা যুবদলের সহ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক নূর মাহমুদ।
আজ (১০ অক্টোবর, বুধবার) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নীলফামারী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী নাবিল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-০৬৪৪) এই পেট্রোল বোমা ছোঁড়া হয়। এতে আহত হন ওই বাসের ৩ যাত্রী।
আহত যাত্রীরা হলেন- নীলফামারীর জয়চণ্ডি পুটিহাড়ি গ্রামের মোজাম্মেল হকের স্ত্রী আনজু মনোয়ারা(৫০), জলঢাকা উপজেলার শিমুলগাড়ি গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী মুনিরা বেগম(৪০) এবং টাঙ্গাইলের শান্তিনগর গ্রামের শামছুল ইসলামের মেয়ে শামীমা খাতুন(২৭)।
আহতরা জানান, বগুড়ার ফটকি ব্রিজ পার হওয়া মাত্রই গাড়িতে পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে পালায় কয়েকজন যুবক।
ঘটনার পরপরই টহলরত পুলিশ হামলাকারীদের ধাওয়া করে। এ সময় তাদের মধ্যে নূর মাহমুদকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। বাকিরা পালিয়ে যায়। আটক নূর জেলা যুবদলের সহ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও মাঝিড়ার খাজা মিয়ার ছেলে।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাকি হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
রউফ▐ অরিন▐ NEWS24