ফরিদপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাজুসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

সংগৃহীত ছবি

ফরিদপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাজুসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

ফরিদপুর প্রতিনিধি

‘সোনায় বিনিয়োগ, ভবিষ্যতের সঞ্চয়’-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ফরিদপুরে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশনের (বাজুস) ৫৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

আজ সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল ১১টায় ফরিদপুর শহরের স্বর্ণকারপট্টিতে অবস্থিত বাজুসের জেলা কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফের বাজুস কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে কেক কাটা শেষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস) ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি নন্দ কুমার বড়ালের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস।

বাজুসের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কর্মকারের সঞ্চালনায় এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পৌরসভার ২৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মতিউর রহমান শামিম।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা আজ ঐক্যবদ্ধ। তাই তো বাজুস এখন সবার প্রাণের সংগঠনে পরিণত হয়েছে।

তারা বলেন, ‘আমরা যে ব্যবসা করতেছি, আগে এ ব্যবসার কিছুটা দুর্নাম ছিল। কিন্তু সায়েম সোবহান আনভীর দায়িত্ব নেওয়া পর থেকে সেই দুর্নাম ঘুচিয়ে সুনামের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে বাজুস। ’

এসময় তারা জানান, আমাদের শুধু আয়োজন ও উৎসব করলেই চলবে না। আমাদের বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে যেসব দায়িত্ব দেওয়া হয় তা-ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে হবে। এছাড়া সব স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ক্রেতাদের ভালো স্বর্ণ দেওয়ার পাশাপাশি তাদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করারও আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া বাজুসের নিয়মাবলী মেনে সবাইকে ব্যবসা করা ও ক্রেতারা যেন কোনোভাবে প্রতারিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার অনুরোধ করা হয়। একইসঙ্গে প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে জবাবদিহিতার মধ্যে থাকতে হবে বলে জানান বক্তারা।

এসময় স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘আমরা আমাদের ছেলে-মেয়েদের বলতে পারবো এ ব্যবসা এখন সৎ ব্যবসা। এ ব্যবসার উপর ব্যবসা নেই। আমাদের ছেলে-মেয়েদেরও স্বর্ণ ব্যবসায় আসতে উদ্বুদ্ধ করবো। ’

এ আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বাজুসের জেলা শাখার সহ-সভাপতি বাবুরাম কর্মকার, স্বপন কুমার কর্মকার, সুবোধ দে, গৌরাঙ্গ কর্মকার, সহ-সাধারণ সম্পাদক শংকর দত্ত, বাদল দত্ত, কোষাধ্যক্ষ বিষ্ণু পদ কর্মকার, কার্যনির্বাহী সদস্য সঞ্জয় কর্মকার, দীপক কুমার আঢ্য, বিশ্বজিৎ সরকার সহ শতাধিক নেতাকর্মী ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী।