প্রেমের টানে সংসদ ছাড়লেন স্পিকার ও এমপি

সংগৃহীত ছবি

প্রেমের টানে সংসদ ছাড়লেন স্পিকার ও এমপি

অনলাইন ডেস্ক

বিবাহিত নারী স্পিকারের সঙ্গে অবিবাহিত পুরুষ পার্লামেন্ট মেম্বারের প্রেমের সম্পর্ক দেশজুড়ে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা চলছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী এর আগে নিজ দলের দুই শীর্ষ নেতাকে এ বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সতর্ক করলেও ঠেকাতে পারেননি এমন অসম প্রেম। পরে প্রেমের সম্পর্ক স্বীকার করে নিয়ে পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করেছেন সিঙ্গাপুরের স্পিকার তান চুয়ান জিন এবং এমপি চেন লি হুই। সোমবার (১৭ জুলাই) রাজধানী সিঙ্গাপুর সিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি সেইন লুং।

খবর স্ট্রেইটস টাইমস।  

‘আজ তারা দু’জনই আমার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি,’ সংবাদ সম্মেলনে বলেন প্রধানমন্ত্রী লি সেইন ‍লুন।

সিঙ্গাপুর পার্লামেন্টের স্পিকার তান চুয়ান জিন ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জননী। তিনি এবং এমপি চেন লি হুই উভয়েই ক্ষমতাসীন পিপলস অ্যাকশন পার্টির (পিএপি) উচ্চ পর্যায়ের সদস্য।

২০২০ সাল থেকে তাদের মধ্যে ঘনিষ্টতা শুরু।

কিন্তু দলের পক্ষ থেকে তাদেরকে এর আগে সতর্কবার্তা দিয়ে বলা হয়েছিল, যেহেতু তান চুয়ান জিন বিবাহিত, তাই তাদের ঘনিষ্টতা দলের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই তারা যেন নিজেদের সম্পর্ককে আর বাড়তে না দেন।

তান চুয়ান জিন এবং চেন লি হুই দলের উচ্চ পর্যায়ের এই সিদ্ধান্ত সেই সময় মেনে নিলেও পরে সেখান থেকে সরে আসেন। সম্প্রতি পিএপির ভেতরে তাদের দুই জনের সম্পর্ক নিয়ে পিএপির বিরুদ্ধে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছিল।

গত সপ্তাহে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন সিঙ্গাপুরের পরিবহনমন্ত্রী এস. ঈশ্বরণ। পরিবহনক্ষেত্রে উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতির অভিযোগে তাকে গেপ্তার করেছে দেশটির দুর্নীতি দমন ব্যুরো। এশিয়া ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে ক্ষমতার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে দুর্নীতির প্রবণতা প্রায়ই পরিলক্ষিত হয়, আবার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব দুর্নীতিকে ছাড় দেওয়াও নতুন কিছু নয়।

তবে সিঙ্গাপুর এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। দেশটি আক্ষরিক অর্থেই দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স মেনে চলে। একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষমতাসীন পিএপি যখন বিপর্যস্ত, সে সময় বিবাহিত স্পিকারের সঙ্গে এমপির প্রেমে দেশজুড়ে যে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছিল, তার ইতি টানতে দলের নীতি নির্ধাকরদের নির্দেশে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন দু’জন নিয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী লি সেইন লুন।
News24bd.tv/AA