দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে প্রথমবারের মতো আনারস চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন স্থানীয় এক কৃষক। এই আনারসের চারা মধুপুর থেকে সংগ্রহ করে রোপন করেছেন ওই কৃষক। ভালো ফলনের পাশাপাশি রসালো মিষ্টি এবং আকারে বড় হওয়ায় এরইমধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই আনারস। এর মধ্যদিয়ে ধানের জেলায় যুক্ত হলো একটি নতুন কৃষি সম্ভাবনা।
বাণিজ্যকভাবে আনারস চাষে সফলতা পাওয়া ফুলবাড়ী উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের চাষী নূরুন্নবী আশেখী বাবুল জানিয়েছেন, টাঙ্গাইলের মধুপুরে এক বন্ধুর বাসায় ঘুরতে গিয়ে আনারসের চাষ দেখে উৎসাহ পান তিনি। পরে ২০২১ সালের নভেম্বরে মধুপুর থেকে তার সাড়ে চার বিঘা জমিতে প্রায় ২৩ হাজার ক্যালেঙ্গা জাতের আনারসের চারা রোপন করেন। তার আনারস আবাদে এই পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে এবং যা ফলন এসেছে তিনি ধারনা করছেন খরচ বাদ দিয়ে ৫ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। লাভ ছাড়াও প্রতিটি আনারসে চার থেকে পাঁচটি চারা বের হয়, সেই চারা বিক্রি করেও বাড়তি আয় হবে।
আনারস চাষে কোনো প্রকার কিটনাশকের খরচ নেই এবং সেচ ছাড়াই শুধু আগাছা পরিস্কার ও জৈবিক উপায়ে এই ফল উৎপাদন করেছেন কৃষক বাবুল। এরই মধ্যে কিছু আনারস বাজারে বিক্রি শুরু করেছেন তিনি। সুস্বাদু হওয়ায় ক্রেতাদের মধ্যে বেশ সারা ফেলেছে। কৃষক বাবুলের দাবী মধুপুরের চেয়ে কোনো অংশে কম নয় দিনাজপুরের আনারস।
এদিকে বাবুলের আনারস চাষের খবর শুনে স্থানীয় অনেক কৃষকই দেখতে আসছেন এবং নিচ্ছেন পরামর্শ। পাশাপাশি ফল ব্যবসায়ীরাও বাবুলের জমি থেকে আনারস নিয়ে যাচ্ছেন।
ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার প্রকল্পটি ঘুরে দেখে জানালে, এই অঞ্চলে নতুন চাষের সংযোজন হলো। নতুন এই কৃষক নূরন্নবী আশেখী বাবুলকে সব ধরনের পরামর্শ প্রদান করবে কৃষি অফিস। তবে যারাই আনারস চাষ করবে অবশ্যই মাটি পরীক্ষা করে নিয়ম অনুযাই চাষ করতে হবে।
ক্যালেঙ্গা জাতের চারা রোপনের ১৮ মাস পর থেকেই আনারস সংগ্রহ করা যায় এবং প্রতিটি আনারসের ওজন হয় ৪ থেকে ৫ কেজি।
news24bd.tv/SHS