১২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

সংগৃহীত ছবি

১২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের গতি ও অর্থের জোগান কমানোর লক্ষ্যে রাশিয়া ও কিরগিজস্তানের ১২০ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে।  

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, যতদিন যুদ্ধ চলমান থাকবে আমরা এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া অব্যাহত রাখব। এটিই শেষ নিষেধাজ্ঞা নয়।

আগামী দিনগুলোতে আরও উপযুক্ত নিষেধাজ্ঞা জারির উপায় আমার বিবেচনা করব। খবর দ্য মস্কো টাইমস।  

রাশিয়ার খনি, প্রযুক্তি ও গোলাবারুদের প্রতিষ্ঠান এবং বাণিজ্যিক ব্যাংককে লক্ষ্য করে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি কিরগিজস্তানভিত্তিক কয়েকটি ইলেক্ট্রনিক্স প্রতিষ্ঠানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

 

এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়া সর্বাত্মক হামলা শুরুর করার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে, রাশিয়ার ওপর নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে এবং অবৈধ যুদ্ধকে সমর্থনকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহির পক্ষে প্রচার চালাচ্ছে। যতদিন প্রয়োজন হবে আমরা ইউক্রেনের পাশে থাকব।

মে মাসে জাপানে যুক্তরাষ্ট্র ও শিল্পোন্নত সাতটি দেশের জোট জি-৭ যে নিষেধাজ্ঞার ধারা শুরু হয়েছে সর্বশেষ এ নিষেধাজ্ঞা সেগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

হোয়াইট হাউস বলেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের মতো মিত্রদের সঙ্গে সমন্বিত নিষেধাজ্ঞা উদ্যোগের সঙ্গে এটি সামঞ্জস্যপূর্ণ।

চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের বর্ষপূর্তিতে রাশিয়ার ধাতু ও খনি খাত নিষেধাজ্ঞার পরবর্তী লক্ষ্য হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন মার্কিন কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে রাশিয়ার তেলের সর্বোচ্চ মূল্য বেঁধে দিয়ে জ্বালানি খাত থেকে দেশটির রাজস্ব কমানোর লক্ষ্যও রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির মিত্রদের।

News24bd.tv/AA