মাদারীপুর সদর উপজেলায় ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে উভয়পক্ষের সংর্ঘষে নারীসহ আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। শুক্রবার সকালে মাদারীপুর সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের পশ্চিম ছিলারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন পশ্চিম ছিলারচর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের ইউনুস ফকিরের ছেলে ইমান ফকির (৪০), রহমানের খানের ছেলে সালাউদ্দিন খান (৩২), সোনাই শিকদারের ছেলে শাহাবুদ্দিন শিকদার (৪৫), কালাই শিকদার (৪৩), ইসমাইল মাতুব্বরের স্ত্রী রানু (৫৫), মাইদুল শিকদারের স্ত্রী রিনা (২৮), ইউনুস ফকিরের স্ত্রী সুরাতন বেগম (৫০), রাজ্জাক ঘরামীর স্ত্রী রাহাতন নেশা (৬৫), লেলালউদ্দীনের ছেলে আজাহার শিকদার (৪৫), আমজেদ শিকদারের মহিবুল (৩৫), নজরুল ইসলামের ছেলে সেলিম (৩০), ফোরকান ফকির (৩৬), আজহার শিকদার (৫৫), রবিন শিকদার (৩২) রুবেল মাতুব্বর (৩৭)।
এদিকে এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে তার স্বামী তার দোকানে চলে গেলে বাড়িতে একা রান্না করে ছিল তার মেয়ে। শাহাবুদ্দিন শিকদারের ছেলে শামীম ওই মেয়েকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে ওই মেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এলে তার চাচি এসে তাকে উদ্ধার করে।
এদিকে আহত সুরাতন নেসার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী বলেন, আমার মেয়ে বাসায় একা ছিল। এই সুযোগে আমার প্রতিবেশী শাহাবুদ্দিন শিকদার ছেলে শামীম শিকদার মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টা চালায়। তারপর আমার মেয়ে চিৎকার করলে তার চাচি এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে এ বিষয়টি তাদেরকে জিজ্ঞেসা করলে তারা উল্টো আমাদেরকে মারধর করছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
এদিকে অভিযুক্ত শাহাবুদ্দিন শিকদারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো.সিহাব বলেন, সকালে অনেক মারামারির রোগী এসেছে তাদের মধ্যে একজনকে অবস্থা অনেক খারাপ তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
news24bd.tv/কামরুল