ঘূর্ণিঝড় তিতলির প্রভাবে পাহাড়ে বৃষ্টি যেন থামছেই না। ফলে কাটছে না নতুন করে পাহাড়ধসের শঙ্কা। তাই টানা বৃষ্টি দেখে করা হচ্ছে মাইকিং। বুধবার থেকে শুরু হয়েছে পাহাড়ে বৃষ্টিপাত।
কখনো হালকা, কখনো মাঝারি, আবার কখনো ভারি বর্ষণ। এ অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে এখনই নিরাপদে সরে যেতে অব্যাহতভাবে মাইকিং করছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন।আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী রোববার পর্যন্ত চলতে পারে এ বৃষ্টিপাত।
রাঙামাটি আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র কর্মকর্তা ক্যাচিনু মারমা জানান, কখনো হালকা, মাঝারি, আবার ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে এখানে।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশিদ বলেন, পাহাড় ধসে একটি প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে দেওয়া যাবে না। কারণ জেলা প্রশাসন এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাগ্রহণ করেছে। বিশেষ করে ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলো আগে থেকে চিহ্নিত করা ছিল। সেখানে অবস্তানরত মানুষগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া ব্যবস্তা নেওয়া হয়েছে। এলাকায় মাইকিং করে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের এ আদেশ অমান্য করে যারা পাহাড়ের নিচে বসবাস করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, রাঙামাটি শহরে ৩১টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যারা আশ্রয় কেন্দ্র আশ্রয় নেবে তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, বিভিন্ন সংগঠনের সেচ্ছা সেবক, ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্যরা কাজ করছে।
এদিকে শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটায় দূর্যোগ মোকাবেলায় তাৎক্ষনিক সভা ডাকেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক। রাঙামাটি রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন- রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. নজুরুল ইসলাম, রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা পুরিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্তী আক্তার প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ২০১৭-১৮সালে রাঙামাটিতে ভয়াবহ পাহাড় ধসের চিহ্নি এখনো মুছে যায়নি। এখনো রয়ে গেছে সড়কে সড়কে ফাটল। এখানেই শেষ নয়, আবারও বৃষ্টিপাতের কারণে ভেঙেছে বিভিন্ন সড়ক। ধসে পড়ছে পাহাড়। তাতে বেড়েছে দুর্ভোগ-উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/মুমু/তৌহিদ)