রাতের ভোট আর হতে দেওয়া হবে না: মুফতি ফয়জুল করিম

রাতের ভোট আর হতে দেওয়া হবে না: মুফতি ফয়জুল করিম

আব্দুস সামাদ সায়েম, সিরাজগঞ্জ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করিম বলেছেন, বাংলাদেশে রাতের ভোট করতে দেওয়া হবে না। নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হতে হবে। ২০১৪ ও ১৮ সালে আমলা ও প্রশাসনকে ঘুষ দিয়ে তাদের অপশক্তি ব্যবহার করে রাতের ভোটে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছিল। এ কারণেই কোনো আমলা-প্রশাসন এমনকি একজন ওসিই সরকারের এমপিদের কথা শোনে না।

এমপিদের যেন নাকে খত দিয়ে ঘোরায়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে সিরাজগঞ্জ শহরের বাজার স্টেশন স্বাধীনতা স্কয়ার চত্ত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ জাতীয় সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সাম্যতা, সামাজিক ন্যায় বিচার ও মানবিক মর্যাদা রক্ষার জন্য পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করা হয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতার পর এখনো সাম্যতা, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার কোনোটাই দেশের মানুষ পায়নি।

তিনি বলেন, সাম্যতা মানে সকলের সমান অধিকার। কিন্তু দেশে শুধু এখন আওয়ামী লীগের অধিকার রয়েছে। আওয়ামী লীগ করলে আপনার চাকরি হবে, বাসস্থান থাকবে ও চিকিৎসা সেবাসহ সব সুযোগ সুবিধা থাকবে। আর অন্যদলের মানুষ হলে কোনোটাই পাবেন না। মানবিক মর্যাদা মানে সকলের মর্যাদা থাকবে। কিন্তু বর্তমানে আওয়ামী লীগ যারা করে শুধু তাদেরই মর্যাদা আছে। অন্য কারও নেই। অন্যদলের যোগ্য সম্পন্ন লোকদেরও প্রতিনিয়ত লাঞ্চিত করা হচ্ছে। সামাজিক ন্যায় বিচারও দেশে নেই। আওয়ামী লীগের কেউ ধর্ষণ, দুর্নীতি ও হত্যা মামলার আসামি হলেও তারা খোলা আকাশের নীচে বুক ফুলিয়ে ঘুরছে। কিন্তু অন্য দলের কেউ অপরাধ না করলেও তাদের জেলে থাকতে হচ্ছে। তাই পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে যেমন- যার যা কিছু ছিল তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়েছিল তেমনি সাম্যতা, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার ফিরিয়ে আনতে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

আমলাদের সমালেচনা করে বলেন, বিদেশে যত টাকা পাচার হয়েছে, দেশে যত দুর্নীতি হয়েছে তার অধিকাংশের সাথেই আমলারা জড়িত। তাই আমলারাও চাচ্ছে তাদের যেন কোনো বিচার না হয়-এজন্য রাতের ভোটে আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে ষড়যন্ত্র করছে। এগুলো প্রতিরোধ করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

সংগঠনের জেলা সভাপতি মুফতি মুহিবুল্লাহর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, কাজিপুর উপজেলা সভাপতি হাফেজ আবু জাফর আহমেদ, সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, সহসভাপতি গোলাম উসমানী, উল্লাপাড়ার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মানসুরুল হক, বেলকুচির সাধারণ সম্পাদক, হাফেজ জয়নাল আবেদীন, মাওলানা হাবিবুল্লাহ, ইমরান হোসাইন, মুফতি আব্দুস সামাদ, ডাক্তার মোকলেসুর রহমান ও মঈনুল ইসলাম প্রমুখ।

news24bd.tvতৌহিদ