বাগেরহাটের শরণখোলায় নবম শ্রেণির ছাত্রীকে চড়-থাপ্পড় মেরে আহত করার ঘটনায় খাদা আলহাজ গগণ মেমোরিয়াল দাখিল মাদরাসা সুপার মাওলানা ওবায়দুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ জুলাই) দুপুরে মাদরাসা ম্যানেজিং কমিটির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এর আগে গত বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে জোহরের নামাজের জন্য ওজু করতে না যাওয়ায় মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী আবিদা সুলতানাকে (১৫) এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় মেরে আহত করেন সুপার মাওলানা ওবায়দুল হক।
আহত আবিদা উপজেলার রায়েন্দা উনিয়নের উত্তর তাফালবাড়ী গ্রামের মাওলানা এমাদুল হকের মেয়ে। তিনি কদমতলা মোহসেনিয়া দালিখ মাদরাসার শিক্ষক এবং আবিদার মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটিরও সদস্য।
আবিদা সুলতানা বলে, দুপুর ১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত আমাদের ক্লাস চলছে।
শরণখোলা উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এস এম ফয়সাল আহমেদ বলেন, আবিদাকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে সে সুস্থ আছে।
মাদরাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমল হোসেন মুক্তা বলেন, ছাত্রীর গায় হাত তুলে সুপার খুবই অন্যায় করেছেন। পরিস্থিতি সামলাতে ম্যানেজিং কমিটির সভায় সুপারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ছগির ফকিরকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কিমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।
তবে মাদরাসা সুপার মাওলানা ওবায়দুল হক অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, মাদ্রাসায় নামাজ বাধ্যতামুলক। তাই সকল ছাত্রছাত্রীকে জোহরের নামাজের জন্য নিদের্শ দেওয়া হলে সবাই ওজু করতে যায়। কিন্তু আবিদাকে বার বার বলা সত্বেও সে ওজু করতে না যাওয়ায় তাকে কয়েকটি চড় দিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে যে এতোদূর গড়াবে ভাবতে পারিনি। আমি এঘটনায় অনুতপ্ত হয়ে ছাত্রীর পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছি।