রংপুর নিয়েও প্রধানমন্ত্রীর সীমাহীন স্বপ্ন: জাহাঙ্গীর কবির নানক

সংগৃহীত ছবি

রংপুর নিয়েও প্রধানমন্ত্রীর সীমাহীন স্বপ্ন: জাহাঙ্গীর কবির নানক

নিজস্ব প্রতিবেদক 

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আমাদের শক্তি, আমাদের প্রেরণা শেখ হাসিনা তার প্রিয় রংপুরে আসছেন ১২ বছর পর। এ এক মাহেন্দ্রক্ষণ। দশ লাখের বেশি লোক সমাগম ঘটবে। সেই তাদের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের।

আজ সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল পরিদর্শন শেষে জাহাঙ্গীর কবির নানক এ কথা বলেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সুজিত রায় নন্দী, এস এম কামালসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা।  

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, দীর্ঘদিন পরে আসছেন শেখ হাসিনা। সামনে এগিয়ে আসছে নির্বাচন।

প্রথম ধাপের কাজটি রংপুর থেকেই শুরু করছেন তিনি।
 
তিনি বলেন, সাড়ে চৌদ্দ বছরের সকল অর্জনকে ম্লান করে দেয়ার জন্য বিএনপি জামায়াত মাঠে নেমেছে। কুলাঙ্গার তারেক রহমানের লোপাট করা টাকা দিয়ে বিদেশি লবিষ্ট নিয়োগ করেছে। যারা বন্দুকের নলের জোরে ক্ষমতা দখল করেছে, যারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছিলো, যারা বিমানবাহিনীর হাজার হাজার অফিসার হত্যা করেছিল, সেই তারা আজ মানবতার কথা বলে। ওরা আমাদের আজ গণতন্ত্র শেখায়।  

সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, উত্তরের জনপদ আজ সম্ভ্রান্ত জনপদে পরিণত হয়েছে। শেখ হাসিনার দেশের উন্নয়নের জন্য কতো আগ্রহ, তার কী লক্ষ্য, তা আমরা চিন্তাও করতে পারিনা। রংপুর নিয়েও তার সীমাহীন স্বপ্ন। এ জন্যই জনসভা মহাসমুদ্রে পরিণত করতে হবে। মানুষে মানুষে সয়লাব করে ফেলতে হবে রংপুরের গোটা মহানগরকে।
 
এসময় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে তিনি বলেন, নেত্রীর নিরাপত্তা, জনসভার শৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিতদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। সবার চোখ রাখতে হবে সবার ওপর। ব্যাগ থাকলে চেক করবেন। বুকে জড়িয়ে যাচাই করে ফেলবেন কাউকে সন্দেহ হলেই।  

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা, তুমিই বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশ রংপুরে আসছেন। এর চেয়ে আর আনন্দের খবর কিছু হতে পারে না। বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে। তার কী কিছু করার আছে? তারেক রহমান একটা খুনি পলাতক আসামী তার কি করার আছে? তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করবে। ২০১৪ সালে তারা ভোট কেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছে। তারা নমিনেশন বানিজ্য করেছে। এই রংপুরে মানুষ না খেয়ে মারা যেতো। কিন্তু সেই রংপুরের মানুষ সমৃদ্ধ হচ্ছে। স্বপ্নের বাস্তবায়ন করছে।

দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, রংপুরের সমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে হবে। শেখ হাসিনা আমাদের শেষ ঠিকানা। অন্ধকারের বাংলাদেশকে আলোকিত করেছেন। তিনি আছেন বলেই আমরা ভালো আছি। বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছে। সেই শেখ হাসিনা আসছেন রংপুরে। আপনাদের দায়িত্ব হচ্ছে জনসভাকে সফল করার জন্য সকলপ্রকার সহায়তা করা। চোখ কান খোলা রাখতে হবে যাতে শান্তিপূর্ণ একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া তারেক রহমানের সাম্প্রতিক হুমকিধামকি সম্পর্কে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করে রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেন, শৃঙ্খলা মানবো, ঐক্যবদ্ধ থাকবো-এই নীতি নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আদর্শের প্রশ্নে কোনো কম্প্রোমাইজ চলবে না। সমাবেশ সফল করার জন্য সকল নেতাকর্মীকে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। কর্মীদের অর্পিত দায়িত্বপালনে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়ার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।