বাসে আগুন: সিসিটিভি ও ফুটেজ দেখে অপরাধী শনাক্তের চেষ্টা

বাসে আগুন: সিসিটিভি ও ফুটেজ দেখে অপরাধী শনাক্তের চেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক

ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িতদের খুঁজছে পুলিশ। এ জন্য ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।  

ঘটনার কাছাকাছি সময়ের বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজও এসেছে তদন্তসংশ্লিষ্টদের হাতে। এখন এগুলো বিশ্লেষণ করে অপরাধীদের শনাক্তের চেষ্টা করছে পুলিশ।

এ জন্য তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে তদন্ত অব্যাহত রেখেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।  

এর বাইরে ঢাকা মহানগর পুলিশের সংশ্লিষ্ট অপরাধ বিভাগের পুলিশ এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা আগুনের রহস্য উন্মোচনে কাজ করছে। তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছে।

পুলিশের একাধিক সূত্র বলছে, বাসে আগুনের ঘটনার পর থেকেই কয়েকটি টিমে ভাগ হয়ে তদন্ত শুরু করেছেন তারা।

প্রথম ধাপে আগুনের ঘটনাস্থলগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানকার সব ভিডিও ফুটেজ এবং স্থিরচিত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে।  

এক্ষেত্রে সিসিটিভির ধারণকৃত ফুটেজগুলোর সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে উঠে আসা ফুটেজগুলোকে তারা প্রাধান্য দিচ্ছেন। তাছাড়া ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যও নিচ্ছেন। সংগ্রহ করা ভিডিওগুলোর সঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য মিলিয়ে দেখছেন। অপরাধীরা সম্ভাব্য যে জায়গাগুলো থেকে মোটরসাইকেলে এসেছেন, তার পুরো পথের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছেন।  

যেসব ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে, এগুলো থেকে ঘটনাস্থলে কারা গেছেন, তাদের খুঁজে বের করা হচ্ছে। তাদের চেহারাগুলো আলাদা করে অগ্নিসংযোগকারীদের পরিচয় নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে।

এদিকে ডিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, এ ঘটনার তদন্তে তারা তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করছেন। ইতোমধ্যে ডিবির সঙ্গে এ বিষয়ে অভিজ্ঞ সরকারি দপ্তরের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে। তারাও ডিবিকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছেন। তবে যেই এলাকায় ঘটনাগুলো ঘটেছে, সেখানকার কেউ সম্ভাব্য অপরাধীদের চেহারাগুলো নিশ্চিত করতে পারছে না। এটি অপরাধী শনাক্তে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
 
সূত্রটি বলছে, যেহেতু বিএনপির মহাসমাবেশে সারা দেশ থেকে লোকজন এসেছে, এ কারণেই হয়তো অপরাধী চিহ্নিত করতে তাদের বেগ পেতে হচ্ছে। কারণ, এরা ঢাকার নেতাকর্মী নাও হতে পারেন। তবে ঘটনাটি যে বিএনপির নেতাকর্মীরাই ঘটিয়েছেন, এ বিষয়ে এখনই নিশ্চিতভাবে বলছেন না তারা। অগ্নিসংযোগের সম্ভাব্য সব বিষয় সামনে রেখে তারা তদন্ত অব্যাহত রেখেছেন। যাতে এই তদন্ত নিয়ে কোনো ধরনের প্রশ্ন না ওঠে। হাতে সব ধরনের তথ্যপ্রমাণ এলে তারা এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলবেন।

এ বিষয়ে সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার মো. ফারুক হোসেন বলেন, বাসে অগ্নিসংযোগকারীদের বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। অপরাধীদের শনাক্তে থানা পুলিশ এবং ডিবি কাজ করছে। ভিডিও ফুটেজগুলো বিশ্লেষণ করে অপরাধীদের খোঁজা হচ্ছে। তাদের কোনো দলীয় পরিচয় আছে কি না, তাও জানার চেষ্টা চলছে।