এসেনসিয়াল ড্রাগসে অনিয়ম-অর্থ লোপাট, অনুসন্ধান চালু রাখার নির্দেশ

সংগৃহীত ছবি

এসেনসিয়াল ড্রাগসে অনিয়ম-অর্থ লোপাট, অনুসন্ধান চালু রাখার নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক

দেশের একমাত্র সরকারি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটডে (ইডিসিএল) সরকারি অডিটে ৩২টি অনিয়ম ও ৪৭৭ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় স্বাধীন অনুসন্ধান চলমান রাখতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এদিকে, দুদকও দুর্নীতির অভিযোগ দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত করছে। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, চাওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় নথিপত্র।  

আজ বুধবার (০২ আগস্ট) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চে এ বিষয়ে স্বপ্রনোদিত রুলের শুনানিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান।

 

দুদকের এই আইনজীবী জানান, গত ১২ মার্চ স্বপ্রনোদিত হয়ে দেশের একমাত্র সরকারি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের সরকারি অডিটে ৩২টি অনিয়ম ও ৪৭৭ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনা অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ বিষয়ে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করে আদালত। দুদক, এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে জবাব দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।

উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানির ‘সরকারি অডিটে ৩২ অনিয়ম, ৪৭৭ কোটি টাকা লোপাট’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

ওই প্রতিবেদনটি নজরে আসার পর অভিযোগের বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এ এক সরকারি অর্থ লুটপাটের স্বর্গরাজ্য। ক্যান্টিন বন্ধ, কিন্তু ভর্তুকির বিল তোলা হয়েছে। কাঁচামালের তুলনায় ওষুধের উৎপাদন কম দেখিয়ে করা হয়েছে তছরুপ। এছাড়া বিধি লঙ্ঘন করে হয় টেন্ডার প্রদান ও বিনা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এডহক ভিত্তিতে নিয়োগবাণিজ্য- এমন কোনো অনিয়ম নেই যা এখানে হয়নি।

সরকারি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল)। শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এটি। রাজধানীর তেজগাঁও সাতরাস্তা এলাকায় অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটিতে সরকারি অডিটেই আর্থিক বড় দুর্নীতির চিত্র উঠে এসেছে। গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরের অডিট প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটিতে ৩২টি গুরুতর অনিয়মে সরকারি ৪৭৭ কোটি ৪১ লাখ ৯১ হাজার ৩৭৮ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

news24bd.tv/SHS