বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অবৈধ আওয়ামী সরকারের ফরমায়েশি রায়ের আরেকটি দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলো। আজ (২ আগস্ট) ঢাকা মহানগর বিশেষ দায়রা জজ আদালতে বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তাঁর সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমানকে সাজা দেয়াটা আওয়ামী দুঃশাসনের কোন ব্যতিক্রমী ঘটনা বলে কারো মনে হয়নি।
ফখরুল বলেন, বিচার বিভাগের দলীয়করণের এটা আর একটি নিকৃষ্ট নজীর। তারেক রহমান এবং তাঁর স্ত্রীকে যে সাজা দেয়া হবে এ নিয়ে কারো সংশয় ছিল না।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রক্ষমতা আঁকড়ে রাখা আওয়ামী সরকার তাদের কোনো প্রতিপক্ষ রাখতে চায় না। সরকারপ্রধান নিজেকে অপ্রতিদ্বন্দ্বী রাখতে চান। সেজন্য আইন আদালত ও প্রশাসনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে রাজনৈতিক প্রধান প্রতিপক্ষকে নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর হয়েছেন।
দুই মামলায় তারেকের ৯, জোবাইদার ৩ বছর কারাদণ্ড
অভিযোগ করে তিনি বলেন, বিএনপি'র শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের সময় রামদা, লাঠিসোঁটা ও রড নিয়ে হামলা করে আওয়ামী ক্যাডাররা যা মানুষের হাতে হাতে মোবাইলে ভিডিওতে দৃশ্যমান হয়েছে। অথচ মামলা হয় বিএনপি'র কয়েক বছর আগে মৃত, কারাবন্দী ও বিদেশে অবস্থানরত নেতাকর্মীদের নামে। মামলা দেয়ার পুলিশই তামাশা এখন সর্বমহলে হাস্যকর বিষয় হয়ে উঠেছে। মৃত বিএনপি নেতাকে 'গায়েবী জীবিত' করে গায়েবী মামলা দেয়া যেন এখন পুলিশের নিত্যদিনের রুটিনে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী নেতাদের চেতনার স্তরে সুবিচার বলে কোন জায়গা নেই।
লিখিত বক্তব্যে ফখরুল বলেন, এই রায় যে শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক হয়েছে তার বড় প্রমাণ আদালতে প্রায় ৪৯ লক্ষ মামলার জট থাকলেও আলোর গতিতে চলেছে এই মামলার কার্যক্রম। রাত ৮টা ৯টা পর্যন্ত একতরফাভাবে সাজানো সাক্ষীকে দিয়ে শেখানো বুলি বলানো হয়েছে আদালতে। একমাসে এই মামলাটির জন্য প্রতিদিন শুনানি করে ৪২ জন সাক্ষী দ্রুত গতিতে নিজেরা নিজেরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান ও জিয়া পরিবারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করবার এবং জনাব তারেক রহমানকে হয়রানী ও হেনস্থা করার জন্যই এই সাজানো মামলা ও কাল্পনিক অভিযোগপত্র দায়ের করা হয়েছে, কারণ দুদক কর্তৃক অভিযোগকৃত সম্পদ জ্ঞাত ও প্রদর্শিত।