তারেক-জোবাইদার কারাদণ্ডের রায়ে ড্যাবের নিন্দা

তারেক-জোবাইদার কারাদণ্ডের রায়ে ড্যাবের নিন্দা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলার রায়ের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব)।

বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ ও মহাসচিব ডা. মো. আব্দুস সালাম এ নিন্দা জানান। এতে ড্যাবের নেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে সরকারকে এই ধরনের ন্যাকারজনক কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানান। নতুবা, বাংলাদেশের চিকিৎসক সমাজ ও সাধারণ জনগণকে সাথে নিয়ে ড্যাব রাজপথে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলে এই সরকারের পতন নিশ্চিত করবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, জোবাইদা রহমানের কোনো ভাই নেই এবং তারা দুই বোন। সুতরাং উত্তরাধিকার সূত্রে তাদের বিপুল সম্পত্তি থেকে যে আয় হয়, তার একটি অংশ উনার প্রাপ্য এবং সেই টাকা দিয়েই ডা. জোবাইদা রহমানের নামে এফডিআর করা হয়েছিল।

কিন্তু দুদক এই মর্মে মামলা করে যে, এই এফডিআরের টাকা জনাব তারেক রহমানের কাছ থেকে ডা. জোবাইদা রহমান নিয়ে এফডিআর করেছেন আর তাতে সহযোগিতা করেছেন তার মাতা সৈয়দা ইকবাল মান বানু। এটা অত্যন্ত হাস্যকর ব্যাপার।

দুই মামলায় তারেকের ৯, জোবাইদার ৩ বছর কারাদণ্ড

নিয়ম অনুযায়ী, কোন সম্পদের তথ্য যদি হিসাব বিবরণীতে ভুলক্রমে না দেখানো হয়, তাহলে সেটা আয়কর আইনের আওতায় আসবে, কোনভাবেই দুদকের আইনের আওতায় না। দুদক এই মামলার মাধ্যমে পক্ষপাতিত্বমূলক অতি উৎসাহী আচরণ এর প্রমাণ দিয়েছে।

ডা. জোবাইদা রহমান পেশায় একজন স্বনামধন্য কার্ডিওলজিস্ট। তার পিতা রিয়ার এডমিরাল মাহবুব আলী খান বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান এবং সাবেক মন্ত্রী ছিলেন। তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমান এর বিরুদ্ধে এহেন সাজা প্রদান প্রমাণ করে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী জনাব তারেক রহমানের জনপ্রিয়তায় ভীত এবং জিয়া পরিবারের প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ণ।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশে একদলীয় শাসন কায়েম এর পথে জিয়া পরিবার এক বিরাট বাধা। সে কারণেই প্রথমে খালেদা জিয়া, মৃত জিয়াউর রহমান, পরবর্তীতে তারেক রহমান এবং সর্বশেষে ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্রমূলক মামলা এবং শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপকৌশল করা হয়েছে।

news24bd.tv/FA