'পদ্মা সেতুর ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে, যা খুবই গৌরবের'

ছবি-সংগৃহীত

'পদ্মা সেতুর ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে, যা খুবই গৌরবের'

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

যারা গরিবের রক্ত চুষে খায়, গরিবকে শোষণ করে, গরিবের কাছ থেকে সুদ খেয়ে বড় হয়, তারা কখনও দেশকে ভালোবাসতে পারে না। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

আজ রোববার মাওয়া-জাজিরায় পদ্মা সেতুর অগ্রগতি পরিদর্শনের সময়ে এক ভাষণে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসকে ইঙ্গিত করে তিনি এসব কথা বলেন।

পদ্মা সেতু পরিদর্শন ছাড়া এসময় বেশ কয়েকটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ড. ইউনূসের প্ররোচণায় পদ্মা সেতু প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দেয় বিশ্ব ব্যাংক। পদ্মা সেতু প্রকল্প বন্ধ করে দিতে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়। অনেকের ধারণা ছিল বিশ্বব্যাংক ছাড়া পদ্মা সেতু হবে না। বিএনপি-জামায়াত জোট এ প্রকল্প বন্ধ করতে চেয়েছিল।

পদ্মা সেতুর আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হয়েছে বাংলাদেশের কিছু মানুষ।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশের মানুষের কাছে। প্রবাসীরাও সবাই আমাকে আশ্বাস দিয়েছে। বাংলার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করি। আমরা আজ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করেছি। পদ্মা সেতু নিয়ে আমার সরকার ও পরিবারের নামে দুর্নীতির কথা ওঠে। পদ্মা সেতুর জন্য আমাদের জাতীয়-আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে, অপমানিত হতে হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭ই মার্চের ভাষণে জাতির পিতা বলেছিলেন কেউ দাবাইয়া রাখতে পারবা না। বাঙালিকে কেউ দাবাইয়া রাখতে পারে না।

তিনি বলেন, বহুমুখী পদ্মা সেতু ৭৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে। এ সেতুর কাজ করা অনেক কঠিন। খরস্রোতা নদী তাই সেতু নির্মাণ অনেক কঠিন ছিল। এরইমধ্যে ৬০ ভাগ কাজ শেষে হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা জমি দিয়েছে তাদের জন্য আমরা প্লট দিয়েছি, তাদের জন্য বাড়তি অর্থ বরাদ্দ দিয়েছি। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তারা এ সেতুর জন্য ভিটে বাড়িও ছেড়ে দিয়েছেন।

দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে ২০০১ সালের ১২ জুলাই মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের কুমারভোগ এলাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ২০১৩ সালের ৪ মে নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। ১২ ডিসেম্বর ২০১৫ সালে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর বাস্তবায়নের মূল পাইলিং কাজের উদ্বোধন করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সাহসের সঙ্গে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে কোটি মানুষের প্রাণের দাবি পূরণ করতে চলেছি। সব চক্রান্ত রুখে দিয়ে বিশ্বের কাছে আমরা প্রমাণ করেছি, আমরা পারি। কারণ বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতুর কাজ সন্তোষজনকভাবে এগিয়ে চলছে। পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের সুবিধা বাড়বে, ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে এবং তাদের জীবনযাত্রার উন্নয়ন হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্প দেশের সর্ববৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্প। সেতুটির নির্মাণ কাজ টেকনিক্যাল, সময়সাপেক্ষ ও চ্যালেঞ্জিং। গুণগতমান শতভাগ ঠিক রাখার স্বার্থে আমাদের ধৈর্য্য ও সতর্কতার সঙ্গে এর সফল বাস্তবায়নে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

 

NEWS24কামরুল

সম্পর্কিত খবর