ভাবীকে কুপিয়ে হত্যা করল দেবর 

ভাবীকে কুপিয়ে হত্যা করল দেবর 

নেত্রকোণা প্রতিনিধি:

পারিবারিক শত্রুতার জেরে নেত্রকোণার পূর্বধলার হিরনপুরে বড় ভাবিকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে দেবর। সেই সঙ্গে গুরুত্বর যখম করেছে শিশু ভাতিজা আলিফকেও। বৃহস্পতিবার দুপুরে পূর্বধলার কুমারকান্দা গ্রামের নিজ বসত ঘরে এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।

জানা যায়, পরিবারের বড় ছেলে খোকন একসময় বাদাম বিক্রি করলেও পরবর্তীতে বিদেশে গিয়ে অর্থ সম্পদ উপার্জন করা নিয়েই সৃষ্টি হয় পারিবারিক দ্বন্দ্ব।

প্রতিবেশী স্বজন ও পুলিশ সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে অর্থ সম্পদ নিয়ে পাঁচ ভাই ও পিতা মাতার সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল বড় ছেলে খোকন মিয়া ও তার স্ত্রী রানু আক্তারের।  

আর এ বিরোধের জেরেই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘরের ভেতর ধারালো ছুড়ি দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় রানু আক্তারকে। নিহত রানু আক্তার (৩৫) পূর্বধলা উপজেলার জারিয়া গ্রামের শামসুদ্দিনের মেয়ে। মুমূর্ষু অবস্থায় আহত শিশু সন্তান আলিফকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

 

এমন হত্যাকাণ্ডের খবরে ঘটনাস্থলেই ভিড় করেন আশপাশের কয়েকটি গ্রামের অন্তত সহস্রাধিক নারী পুরুষ। কান্নায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন নিহতের স্বামী ও স্বজনরা। হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তারা স্থানীয়রা। মূলত পিতা-মাতার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতাতেই এমন হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে ঘাতক সুজন মিয়া (৩০), রুবেল মিয়া (২৮) ও সুমন মিয়া (২৬)।  

হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে অন্যরা পালিয়ে গেলেও স্থানীয়রা ঘরের বাহির থেকে তালাবদ্ধ করে দেয়ায় পালাতে পারেনি সুজন ও তার মা। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে ঘাতক সুজন মিয়া। কিন্তু তার দাবি দীর্ঘদিনের পারিবারিক ক্ষোভ থেকে সে একাই এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।  

এ ঘটনায় জড়িত ঘাতক সুজন মিয়া ও মা রাবেয়া বেগম (৫৮) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  

অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে জানিয়েছেন পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পারিবারিক বিরোধ থেকে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রতিরোধে সামাজিক জন চেতনতার পাশাপাশি সোচ্চার হতে হবে স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের। তবেই কমে আসবে অনাকাঙ্ক্ষিত এমন হত্যাকাণ্ড মনে করেন সচেতন নাগরিকারা।  

এই রকম আরও টপিক