বাংলাদেশের নির্বাচনের সিদ্ধান্ত দেশটির সরকার ও জনগণের
বাংলাদেশের নির্বাচনের সিদ্ধান্ত দেশটির সরকার ও জনগণের

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি।

সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র

বাংলাদেশের নির্বাচনের সিদ্ধান্ত দেশটির সরকার ও জনগণের

গৌতম, নয়াদিল্লী

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন প্রক্রিয়া দেশটির সরকার ও তাদের জনগণ ঠিক করবে বলে মনে করছে ভারত। সাধারণ নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিরোধী দলগুলোর কার্যকলাপের বিষয়েও ভারতের কোনো মন্তব্য নেই।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এসব বলেন। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাইলে এ মুখপাত্র বলেন, 'বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বিশ্ব নানা মন্তব্য করতে পারে।

কিন্তু ভারত ভারতই। আর বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। ' তিনি আরও বলেন, 'আমরা শুধু চাই দেশটিতে শান্তিপূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। '
এই প্রথম ভারত আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দিল।
যদিও কয়েক মাস আগে বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা একটি নৈশভোজে অংশ নিয়ে সংসদে বিএনপির বিরোধী নেতাদের আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু বিএনপি নেতারা ভারতীয় কূটনীতিকদের কাছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য জোর দেন।

সে বিষয়ে এ মুখপাত্র বলেন, 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই। বাংলাদেশের জনগণ এবং তারা (সরকার) তাদের সিস্টেম অনুযায়ী যা সিদ্ধান্ত নেবে তা তাদের ব্যাপার। আমরা শুধু সহিংসতা ছাড়া একটি অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। '

অরিন্দম বাগচি আরও বলেন, 'বাংলাদেশ আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। সেখানে যাই ঘটুক না কেন তার সরাসরি প্রভাব আমাদের ওপর পড়ে। ’

এসময় অন্য আরেক প্রশ্নে মুখপাত্র বলেন, 'ভারত ব্রিকস-এর সম্প্রসারণের বিরোধিতা করছে এটা গুজব। কারণ ব্রিকসের চেয়ার দক্ষিণ আফ্রিকা পরবর্তী ব্রিকস সম্মেলনে বাংলাদেশকে ব্রিকসে যোগদানের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। যা বাংলাদেশ গ্রহণ করেছে। আর্জেন্টিনা, সংযুক্ত আরব আমিরাতকেও জোটে যোগদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। '

এই মুখপাত্র আরও বলেন, 'ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শারীরিকভাবে সম্মেলনে যোগ দিতে পারবেন না। তিনি ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন। তিনি বলেন, ব্রিকস-এর সম্প্রসারণ বিভিন্ন নিয়ম মেনে সংঘটিত হয় এবং এটি সদস্যদের মধ্যে ঐকমত্যের ভিত্তিতে করা হয়। কিন্তু ভারত ব্রিকস সম্প্রসারণের বিরোধিতা করছে এই তথ্য সম্পূর্ণ ভুল। '

news24bd.tv/FA Shovon