তোশাখানা থেকে পাওয়া উপহারভোগী সামরিক কর্মকর্তা ও বিচারকদের তালিকা চাইলো ইমরান খানের দল পিটিআই। ২০২২ সালে বিদেশি উপহার নেয়া কর্মকর্তাদের তালিকা প্রকাশের পরপরই এ দাবি করে দলটি।
তোশাখানা ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। যেটা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণাধীন একটি বিভাগ।
তোশাখানার নিয়ম অনুযায়ী, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপহার ও এই জাতীয় অন্যান্য সামগ্রী পেলে সেটা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জ্ঞাত করতে হবে।
গত রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে তোশাখানার বিস্তারিত হালনাগাদ করা হয়। রাষ্ট্রপতি ড. আরিফ আলভি, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারি, সামরিক স্বৈরশাসক পারভেজ মোশাররফ এবং অন্যান্যরা এই উপহারগুলি থেকে উপকৃত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন।
দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানের তিন বছরের কারাদণ্ড
নথি অনুসারে, কয়েকটি উপহার ছাড়া বেশিরভাগ উপহার অফিস হোল্ডাররা বিনামূল্যে রেখেছিলেন। বিদেশি গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রাপ্ত উপহারের বিনিময়ে এই সরকারি পদধারীরা, বিশেষ করে শাসকরা বিদেশি প্রতিনিধিদের কোটি কোটি রুপি মূল্যের উপহার দিয়েছেন।
আজ শনিবার টুইটারে শেয়ার করা এক ভিডিওতে পিটিআই'র সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন, তোশাখানা যে উপহারের তালিকা প্রকাশ করেছে সেখানে দেখা গেছে 'শরিফ এবং জারদারি পরিবার কীভাবে তোশখানা লুট করেছে'।
ভিডিওতে ফাওয়াদ বলেন, 'এই তালিকাটি পাকিস্তানের জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতাকারী এই দুই পরিবারের মুখোশ উন্মোচন করেছে। এটি জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার আরেকটি প্রমাণ। অথচ গত ১৫ মাসে, এই অভিযুক্তরা তোশাখানা সম্পর্কে ইমরান খান এবং তার স্ত্রী বুশরা বিবির বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলেছে। '
তিনি আরও বলেন, 'কিন্তু সত্যিটা হলো কেউ যদি তোশাখানা উপহারগুলো রাখার জন্য আইনি উপায় বেছে নেন, তিনি হলেন ইমরান খান। ' পিটিআইর এ নেতা আরও বলেন, তার দলের চেয়ারম্যান সবচেয়ে কম সংখ্যক উপহার রেখেছিলেন। এবং যেটা বৈধভাবে।
অভিযোগ তুলে ফাওয়াদ বলেন, 'জারদারি এবং শরীফ পরিবার অকুণ্ঠভাবে আইনের অপব্যবহার করেছে এবং লক্ষ লক্ষ রুপি মূল্যের উপহার আত্মসাৎ করেছে। তারা সামান্য আনারসের বক্সও ছাড়েনি। '
চৌধুরী ফাওয়াদ আরও বলেন, এই তালিকাটি অসম্পূর্ণ। কারণ এতে শুধুমাত্র ২০০২ সালের পরবর্তী রেকর্ডগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, '১৯৮৮ সালের আগে থেকে রাখা উপহারের তালিকা প্রকাশ করতে হবে এবং সেই সঙ্গে সামরিক কর্মকর্তা ও বিচারকদের উপহারও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ' -ডন