শেখ কামাল বেঁচে থাকলে খেলাধুলাকে আরও উঁচু নিয়ে যেতেন বলে জানালেন স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় হকি দলের প্রথম অধিনায়ক আবদুস সাদেক।
শনিবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার ২০২৩’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এসময় তিনি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামালের অবদানের প্রশংসা করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৮টি ক্যাটাগরিতে মোট ১০ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও ২ টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় হকি দলের প্রথম অধিনায়ক আবদুস সাদেক। এসময় তিনি বলেন, শেখ কামাল ছিলেন দেশের ইতিহাসে সফল ক্রীড়া সংগঠন। তিনি ছিলেন নিবেদিত প্রাণ ক্রীড়া সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা।
আবদুস সাদেক আরও বলেন, মাত্র ২৬ বছর বয়সের জীবনে তিনি দেশকে অনেক কিছু দিয়ে গেছেন। আধুনিক চিন্তাভাবনা দিয়ে দেশের ক্রীড়া অঙ্গনকে অনেকটা পথ এগিয়ে নিয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, শেখ কামাল বেঁচে থাকলে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে আরও উঁচুতে নিয়ে যেতে পারতেন। ঘাতকরা সেই সুযোগ দেয়নি। তবে শেখ কামাল যে পথ দেখিয়ে গেছেন আমরা তা অনুসরণ করতে পারলে আরও বেশি সাফল্য নিয়ে আসতে পারবো।
খেলাধুলার প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগ্রহ ও সহযোগিতার প্রশংসা করেন আবদুস সাদেক।
৮টি ক্যাটাগরিতে মোট ১০ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও ২টি প্রতিষ্ঠানকে “শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার ২০২৩” দেওয়া হয়েছে। এদিন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.মহিউদ্দিন আহমেদ।
শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার বিজয়ীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন আজীবন সম্মাননা প্রাপ্ত আবদুস সাদেক এবং সাবিনা খাতুন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।
অনুষ্ঠানে শেখ কামালের জীবন ও কর্মের ওপর একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রদর্শন করা হয়। এ অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী ‘শেখ কামাল: ক্ষণজন্মা এক নক্ষত্র’ শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
