ইমরান খানের গ্রেপ্তার ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’: পিটিআই

ইমরান খানের গ্রেপ্তার ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’: পিটিআই

অনলাইন ডেস্ক

তোশাখানা মামলায় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং গ্রেপ্তারের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কোরেশি।

আজ শনিবার জিও টিভির সঙ্গে আলাপকালে কোরেশি বলেছেন, ‘আমি আদালতের রায় প্রত্যাখ্যান করি এবং বিশ্বাস করি এটি একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং পূর্বনির্ধারিত সিদ্ধান্ত। কোরেশি তার দলের প্রধানকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

সংবিধানের ১০(১) অনুচ্ছেদের বলা আছে প্রত্যেক নাগরিককে ন্যায়বিচার দেওয়া হবে।

তিনি প্রশ্ন করেন খানের বিচারের সময় এই মানদণ্ডটি পূরণ হয়েছিল কি।

বিচার বিভাগকে উদ্দেশ্য করে ৬৭ বছর বয়সী এই নেতা বলেন, ন্যায়বিচারের মানদণ্ড যা নিরপেক্ষতা, এবং পর্যাপ্ত প্রতিনিধিত্ব, জুরির সামনে সাক্ষী উপস্থাপন করা, এগুলো কি তার দলের প্রধানকে দেওয়া হয়েছিল?

বিচারপতি হুমায়ুন দিলাওয়ার ছাড়া পুরো বিচার বিভাগে কি এমন কেউ ছিল না যে বিচারের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারে? তিনি মন্তব্য করেছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান মনে করেন, মামলাগুলো বারবার ট্রায়াল কোর্টে পাঠানো হয়েছিল এই প্রত্যাশায় যে একই রকম রায় দেওয়া হবে।

কোরেশি বলেন, ভাবতে হবে, কেন এত তাড়াহুড়ো করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো এবং সপ্তাহান্তে ঘোষণা করা হলো।

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, এটি উদ্বেগের কারণ যে, রায় ঘোষণা করা হচ্ছে এবং সংবাদটি টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছে, ইমরান খানকে নিতে পুলিশ জামান পার্কে পৌঁছেছে।

‘পুলিশ কি প্রকৃতি ও সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আগেই অবহিত ছিল? প্রশ্ন করেন কোরেশি।

তিনি আরও প্রশ্ন করেন, এটাও ভাবা উচিত ইমরান খানের বাড়ির গেট ভাঙার কী দরকার ছিল?

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যখন একজন ব্যক্তি পুলিশের সামনে যায়, তখন তারা ওয়ারেন্টের জন্য জিজ্ঞাসা করে, তারপরে নিজেকে হাজির করে। ইমরান খানের ক্ষেত্রে, তাদের একটি ওয়ারেন্ট পেশ করা উচিত ছিল কারণ খান তার জিনিসপত্র নিয়ে মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন’।

রায় প্রত্যাখ্যান করে, পিটিআই দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে ন্যায়বিচারের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা হয়নি।

‘এ সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করতে পিটিআই উচ্চতর বিচার বিভাগের দরজায় কড়া নাড়ার অধিকার রাখে’, যোগ করেন তিনি।

বলেন,‘আমরা আইনি উপায়ে ইমরান খানকে রক্ষা করব। আমরা তাকে রক্ষা করার জন্য আইনি উপায় বেছে নেব।

পিটিআই নেতা বলেন, পার্টির কোর কমিটি বৈঠকের পর তার পরবর্তী কর্মসূচি প্রকাশ করবে। সিদ্ধান্ত শুনে আমি গভীরভাবে আহত হয়েছি। আমি ভাবছি আমরা কোথায় পৌঁছেছি।

কোরেশি শেষে বলেন, আমরা উচ্চতর বিচার বিভাগে গিয়েছিলাম কিন্তু আমাদের প্রতিনিধিত্ব করার এবং আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ দেওয়া হয়নি।

সূত্র- জিও টিভি।

news24bd.tvতৌহিদ

এই রকম আরও টপিক