‘উন্নয়নের স্রোতে ভেসে যাবে ষড়যন্ত্র’

সংগৃহীত ছবি

‘উন্নয়নের স্রোতে ভেসে যাবে ষড়যন্ত্র’

অনলাইন ডেস্ক

আওয়ামী লীগের উন্নয়নের স্রোতে সব ষড়যন্ত্র ভেসে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। শনিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে পুরান ঢাকার আগাসাদেক রোডের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ে মেয়র হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন আয়োজিত বিনামূল্যে এক চক্ষুসেবা কার্যক্রমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।  

সাঈদ খোকন বলেন, আজ দেশের যে দিকেই তাকাবেন শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখতে পাবেন। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সব ষড়যন্ত্র উন্নয়নের জনস্রোতে ভেসে যাবে।

উন্নয়ন, অগ্রগতি, সমৃদ্ধি ও শান্তির নিভ্ররযোগ্য ঠিকানা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা

তিনি বলেন, নির্বাচন এলেই অনেক স্রোত কাউন্টার স্রোত আসে। যারা গণতন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চায় না, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে ষড়যন্ত্র করে। এ ধরনের কার্যকলাপ আমরা এখন দেখছি। আমরা সব সময় দেখে আসছি, ষড়যন্ত্রকারীরা নির্বাচন এলেই এক হয়ে যায় আরেকটি নতুন ষড়যন্ত্রের জন্য।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নতুন নয়। ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুদ্ধ করেই তিনি টিকে আছেন। এতটা পথ পাড়ি দিয়েছেন।

সাবেক মেয়র বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করেছে। কখনো স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি, কখনো আন্তর্জাতিক মহল। নানা কারণে এসব ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চূড়ান্ত সফল হয়নি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এসব ষড়যন্ত্র শেখ হাসিনাকে আরও শক্তিশালী করেছে, করেছে জনপ্রিয়।

শুধু শেখ হাসিনার অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব উল্লেখ করে সাঈদ খোকন বলেন, আপনারা দেখেছেন গত নির্বাচনগুলো দেশের মানুষের এবং সারা বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু, অবাদ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এই দেশে সম্ভব সেটা প্রমাণিত। কাজেই এখানে ভিন্ন কিছু চিন্তা করার কোনো অবকাশ নেই। দেশের সংবিধান অনুযায়ী যথা সময়ে আইন কানুন মেনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। একটি বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা, সেখানে সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।  

বিদেশিদের কাছে নয় আমরা জনগণের কাছে যাবো উল্লেখ করে ডিএসসিসি সাবেক মেয়র বলেন, আপনারা (বিএনপি) মিথ্যাচার করছেন। আমরা বিদেশিদের কাছে যাবো না, যাবো জনগণের কাছে। আওয়ামী লীগের শক্তি এ দেশের জনগণ। আমরা তাদের স্মরণ করে দেবো তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার লাগামহীন দুর্নীতির কথা। স্মরণ করে দেবো আপনাদের অগ্নি সন্ত্রাসের কথা। আজ আপনারা গণতন্ত্র আর মানবাধিকারের কথা বলেন। আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে যখন আক্রান্ত করেছেন, তখন কোথায় ছিল আপনাদের মানবাধিকার? আমরা এগুলো জনগণকে স্মরণ করিয়ে দেবো।

নেতা কর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের এই সদস্য বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশবিরোধীরা আগুন-সন্ত্রাসের চেষ্টা করছে। এই নির্বাচনে নৌকাকে জয়ী করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও দেশের প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। আপনারা বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার প্রতীক নৌকায় ভোট দিয়েছেন বলেই আজ বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শেখ হাসিনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ দেশের মানুষ নৌকায় ভোট দিয়েছেন বলেই আজকে দেশটাকে শেখ হাসিনা সম্মানের যায়গায় নিয়ে যেতে পেরেছেন।  

তিনি আরও বলেন, এ দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দারিদ্র্যপীড়িত বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে অনেক সমৃদ্ধ হয়েছে। তাই শেখ হাসিনার সরকার বাংলার মাটিতে বারবার দরকার।

এ সময় তিনি রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের পরিবারের খোঁজখবর নেন। সুখে দুঃখে সব সময় নাগরিকদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এ ছাড়া তাঁর প্রয়াত পিতা অভিবক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফের জন্য দোয়া চান।  

news24bd.tv/আইএএম