যেসব কারণে ‘তীব্র’ এবারের গ্রীষ্ম

প্রতীকী ছবি

যেসব কারণে ‘তীব্র’ এবারের গ্রীষ্ম

অনলাইন ডেস্ক

তাপ, দাবানল ও বন্যা ২০২৩ সালের গ্রীষ্মকে তীব্র করে তুলেছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও)। এর ফলে মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের বড় ধরনের ক্ষতি হবে বলেও সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

শুক্রবার (৪ আগস্ট) ডব্লিউএমও-এর মুখপাত্র ক্লেয়ার নুলিস জেনেভায় সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তীব্র গরম এবং বিধ্বংসী বৃষ্টিপাতসহ বিপজ্জনক আবহাওয়া বিশ্বের বড় অংশকে প্রভাবিত করেছে। তিনি বলেন, জুলাই মাসে বিশ্বজুড়ে অনেক স্থানে তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙে গেছে এবং আগস্টের শুরুতে দক্ষিণ আমেরিকার কিছু অংশে শীতকালীন তাপপ্রবাহ দেখা দিয়েছে।

নুলিস আরও জানান, চলতি সপ্তাহের শুরুতে ফ্রান্স, গ্রিস, ইতালি, স্পেন, আলজেরিয়া ও তিউনিসিয়ার মতো অনেক দেশেই দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ও রাতারাতি সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড গড়েছে। এ সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বড় অংশও ব্যাপক তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছে।

ডব্লিউএমওর তাপবিষয়ক উপদেষ্টা জন নায়ারন বলেন, ‘আমাদের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার বাইরেও মনোযোগ বাড়াতে হবে, কারণ স্বাস্থ্য ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর জন্য ন্যূনতম তাপমাত্রা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ’

জন নায়ারন উল্লেখ করেন, তাপপ্রবাহ সবচেয়ে মারাত্মক প্রাকৃতিক বিপদগুলোর মধ্যে একটি, যেখানে প্রতিবছর তাপজনিত কারণে হাজার হাজার লোক মারা যায়, তাপপ্রবাহের সম্পূর্ণ প্রভাব বেশিরভাগ সপ্তাহ বা মাস পরেও জানা যায় না।

জন নায়ারন আরও বলেন, আগামী দিন ও সপ্তাহগুলোতে ভূমধ্যসাগরের সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা অত্যন্ত বেশি হতে পারে, কিছু অংশে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাবে এবং পশ্চিম ভূমধ্যসাগরের একটি বড় অংশে গড়ের চেয়ে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি হবে। সামুদ্রিক তাপপ্রবাহের প্রভাবগুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির অভিবাসন ও বিলুপ্তি, আক্রমণাত্মক প্রজাতির আগমন যা মৎস্য ও জলজপ্রাণীর ওপর প্রভাব ফেলবে।

কানাডায় বর্তমানে দাবানলের সবচেয়ে ভয়াবহ মৌসুম চলছে। কানাডায় রেকর্ড ভাঙা দাবানলে বড় বড় বনাঞ্চল পুড়ে যাচ্ছে। ২৪ জুলাই পর্যন্ত ৬৫০টিরও বেশি দাবানল নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ডব্লিউএমও জানায়, দাবানলের কারণে গ্রিসের রোডস, এভিয়া ও করফু দ্বীপের কয়েকশ বাসিন্দা এবং পর্যটকদের সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে। এই দাবানলের নির্গমন রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছেছে।

সূত্র : সিনহুয়া

News24bd.tv/AA