তবে কি প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনের পথে পাকিস্তান?

সংগৃহীত ছবি

তবে কি প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনের পথে পাকিস্তান?

অনলাইন ডেস্ক

গতকাল বুধবার রাতে ভেঙে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি। পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের পরামর্শে এ ঘোষণা দেন দেশটির রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভির। বর্তমান পরিষদের পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্তির তিন দিন আগেই পার্লামেন্ট ভেঙে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন করতে হবে। এখন চলবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের প্রস্তুতি।

তবে বর্তমানে পাকিস্তানের সবচেয়ে আলোচিত দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা ইমরান খানের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। আলোচিত তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় কারাদণ্ড পাওয়ার এখন তিনি কারাগারে রয়েছেন। এছাড়া পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচন থেকে তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাই অনেকেই মনে করছেন, দেশটির অন্যতম জনপ্রিয় এই নেতাকে বাদ দিয়ে নির্বাচনের আয়োজন প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে পুরো প্রক্রিয়াকে।

ধারণা করা হয়, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সহায়তায় ২০১৮ সালে ইমরান খান ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু পাক সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির জেরেই তিনি ক্ষমতা হারান বলে মত দিয়েছেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক। ক্ষমতা হারালেও বর্তমানে সাধারণ মানুষের একটি বড় অংশের সমর্থন রয়েছে ইমরান ও তার দলের ওপর। ফলে তাকে বাদ দিয়ে বা জেলে রেখে নির্বাচনের আয়োজন পুরো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।  
 
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং জাতীয় পরিষদে বিরোধীদলীয় নেতা তিন দিন ধরে কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী নিয়ে আলোচনা করলেও এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান হয়নি। তবে তারা সমাধান করতে না পারলে জাতীয় পরিষদের স্পিকার তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেবেন। তারাই তিন দিনের মধ্যে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম নির্বাচন করবেন। তারাও ব্যর্থ হলে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন দুই দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনে জয় পাওয়ার পর ২০১৮ সালের ১২ আগস্ট ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার যাত্রা শুরু করেছিল। তবে গত বছরের এপ্রিলে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে বিরোধীদের আনা আস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা হারান ইমরানের সরকার। পরে শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে বিরোধীরা জোট সরকার গঠন করে। এরপর থেকে নানা আইনি লড়াই সামলাতে হচ্ছে ইমরানকে।

news24bd.tv/SHS