গৃহবধূকে চুল কেটে নির্যাতন, স্বামীসহ গ্রেপ্তার ৩

প্রতীকী ছবি

গৃহবধূকে চুল কেটে নির্যাতন, স্বামীসহ গ্রেপ্তার ৩

অনলাইন ডেস্ক

ঠাকুরগাঁওয়ে যৌতুকের দাবি পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় স্বামী ও সতীন মিলে এক গৃহবধূকে বেধড়ক মারপিটের পর মাথার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী ও সতীনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  

বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রুহিয়া থানার ওসি সোহেল রানা।

জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মধুপুর ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আফসার আলীর ছেলে নূর আলম তিন বছর আগে রানীশংকৈল উপজেলার গোগর সরকারপাড়া গ্রামের এক নারীকে বিয়ে করেন। এটি তার দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর তাকে নিয়ে ঠাকুরগাঁও শহরে ভাড়া বাসায় বসবাস করতে থাকেন নূর আলম।  

এদিকে, নূর আলম ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ফের ব্যবসা চালু করতে দেড় লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন এই স্ত্রীর কাছে।

কিন্তু টাকা দিতে না পেরে এতিম এই স্ত্রী স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে থাকেন।  

এদিকে, মঙ্গলবার রাতে নূর আলম ওই ভাড়া বাসায় গিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে যৌতুকের টাকার জন্য আবারও চাপ দেন। বুধবার সকালে নূর আলম দ্বিতীয় স্ত্রীর মোবাইল ফোন নিয়ে গ্রামের বাড়ি মধুপুর গ্রামে চলে যান। বিষয়টি টের পেয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীও নূর আলমের গ্রামের বাসায় আসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন নূর আলম, তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও দুই ছেলে।  

এ নিয়ে কথাবার্তার এক পর্যায়ে নূর আলম মাথার চুল ধরে তাকে নির্যাতন করেন। তার প্রথম স্ত্রী ও তাদের দুই ছেলেও বেধড়ক মারপিট করে ও চুল কেটে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এক পর্যায়ে দ্বিতীয় স্ত্রী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে মৃত ভেবে তার লাশ গোপনের উদ্দেশ্যে বাড়ির পাশে বাঁশ ঝাড়ে ফেলে দেন তারা।  

এদিকে, খবর পেয়ে রুহিয়া থানার পুলিশ একটি বাঁশঝাড় হতে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত স্বামী নূর আলম, সতীন ও তাদের ছেলে সুজনকে আটক করেছে।

রুহিয়া থানার ওসি সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাতেই  নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  তাদেরকে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।