সাপে কাটলে যা করবেন

সংগৃহীত ছবি

সাপে কাটলে যা করবেন

অনলাইন ডেস্ক

সাপে কাটার ঘটনাগুলো সাধারণত মে-অক্টোবর মাসে বেশি হয়ে থাকে। কারণ, এ সময় বৃষ্টি হয় ও চারিদিকে প্রচুর পানি থাকে। তাই সাপ শুকনো জায়গার খোঁজে বাসা-বাড়িতে উঠে আসে। সেখানে কোনোভাবে মানুষের সংস্পর্শে এলে সাপ নিজেকে বিপদগ্রস্ত মনে করে দংশন করে।

এ ছাড়াও অনেক সময় শিশুরা বাইরে খেলতে গিয়ে সাপের দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে বলে বাবা-মায়েরা আতঙ্কে থাকেন। আতঙ্ক এড়াতে, সবার আগে আমাদের জানা জরুরি যে সাপের কামড়ের লক্ষণগুলো কী কী। এ ছাড়া সাপের কামড়ের চিহ্ন কীভাবে শনাক্ত করতে হয় এবং শনাক্তকরণের পর চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে প্রাথমিক চিকিৎসা কীভাবে করা উচিত, তা-ও জানা প্রয়োজন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় সাপের কামড় সম্পর্কিত নানা তথ্য শেয়ার করে, ডা. বিকাশ কুমার (নিউরো এবং স্পাইন সার্জন, ন্যাশনাল চিফ অ্যাডভাইজার) জানিয়েছেন যে সাধারণত একটি বিষাক্ত সাপের কামড়ে দুটি ছোট ছোট চিহ্ন তৈরি হয়।

যদি অনেকগুলো ছোট চিহ্ন থাকে তবে বুঝতে হবে এটি বিষাক্ত সাপের কামড় নয়।

বিভিন্ন প্রজাতির সাপের মধ্যে ৪টি সবচেয়ে মারাত্মক। এগুলো হলো সাধারণ কোবরা, স’-স্কেলড ভাইপার, সাধারণ ক্রেইট এবং রাসেল ভাইপার। বিষাক্ত সাপের ওপরের অংশটি ত্রিভুজাকার হয়, অন্য দিকে, যেসব সাপের বিষ নেই সেটি স্বাভাবিক থাকে।

সাপে কাটলে কী করা উচিত?
সাপের কামড় শনাক্ত করার পর অবিলম্বে অ্যাম্বুলেন্স ডাকা উচিত এবং ওই ব্যক্তিকে সাপ থেকে দূরে নিয়ে যাওয়া উচিত। যদি সাপটি হার্টের নিচের অংশে কামড়ায় তবে আক্রান্ত ব্যক্তিকে শুইয়ে দিতে হবে। বিষের বিস্তার রোধ করতে, ব্যক্তিকে শান্ত রাখতে হবে।  

এরপর একটি পরিষ্কার ব্যান্ডেজ দিয়ে ক্ষত স্থানটি ঢেকে এর চারপাশে আঁটোসাঁটো করে সুতো দিয়ে বাঁধতে হবে। যদি কোনো সাপ পায়ে কামড় দেয় তবে জুতা খুলে ফেলতে হবে এবং তাড়াতাড়ি ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

সাপে কাটলে যা করবেন না-

যতক্ষণ না ডাক্তার কিছু ওষুধ দিতে বলেন ততক্ষণ কোনো ওষুধ দেওয়া যাবে না।

ক্ষত হৃৎপিণ্ডের ওপরের অংশে থাকলে সেটিকে কাটার চেষ্টা না করা।

বিষ চুষে নেওয়ার চেষ্টা না করা।

ক্ষতস্থানে বরফ না ঘষা।

ব্যক্তিকে ক্যাফিন বা অ্যালকোহলযুক্ত জিনিস না দেওয়া।

ভুক্তভোগীকে হাঁটতে না দেওয়া।

গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া।

সাপের কামড়ের লক্ষণ-

বিষ ছড়িয়ে পড়লে বমি হওয়া, শরীর শক্ত হয়ে যাওয়া বা কাঁপুনি আসা।

অ্যালার্জি, চোখের পাতা ঝরে যাওয়া, ক্ষতস্থানের চারপাশে ফুলে যাওয়া, জ্বালাপোড়া ও লাল হয়ে যাওয়া

ত্বকের রং পরিবর্তন, ডায়রিয়া, জ্বর।

পেটে ব্যথা, মাথাব্যথা, বমি-বমি ভাব।

পক্ষাঘাত, হার্টবিট বেড়ে যাওয়া, ক্লান্তি, পেশিতে দুর্বলতা, তৃষ্ণাবোধ, নিম্ন রক্তচাপ ।

সূত্র : নিউজ ১৮

এই রকম আরও টপিক