রাঙামাটিতে বন্যায় আরও দুই জনের মৃত্যু

প্লাবিত আরও ২৯টি ইউনিয়ন

রাঙামাটিতে বন্যায় আরও দুই জনের মৃত্যু

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি:

রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে বন্যার পানিতে ডুবে আরও এক শিশুসহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- রাহুল বড়ূয়া (১০)। সে বাঘাইছড়ি উপজেলার করেঙ্গাতলী এলাকারবাসীন্দা। অন্য মাঝ বয়সী যুবকের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

 

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাঘাইছড়ি উপজেলার পৃথক পৃথক স্থান থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে রাঙামাটিতে বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে এখন চার জনে দাঁড়িয়েছে। এতে উদ্বেগ উৎকন্ঠা বেড়েছে বানবাসিরদের মধ্যে।

রাঙামাটি বাঘাইছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার জানায়, বাঘাইছড়ি উপজেলার করেঙ্গাতলী এলাকা থেকে নৌকা থেকে পড়ে বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় শিশু রাহুল বড়ুয়া।

খবর পেয়ে স্থানীয়রা দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কিন্তু তার আগে শিশুটির মৃত্যু হয়।

এছাড়া রাঙামাটির বাঘাইছড়ি সাজাকের মাচালং নদীতে এক যুবকের লাশ মিলেছে। তবে লাশটি বিক্রিত হয়ে যাওয়ায় নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি বলে জানায় সাজেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা।  

অন্যদিকে সংশ্লিষ্টদের তথ্য সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন নামছে সীমান্ত থেকে পাহাড়ি ঢল। আর এ ঢলে নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে রাঙামাটির ৫টি উপজেলা অর্থাৎ লংগদু, বরকল, বিলাইছড়ি, বাঘাইছড়ি ও রাজস্থলী উপজেলার নিন্মাঞ্চল। দিনের সাথে পাল্লা দিয়ে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। বসত-ঘর, সড়ক ও হাট-বাজার এখন পানিতে একাকার। এরই মধ্যে পানি বন্দি হয়ে হয়েছে লাখো মানুষ। অন্যদিকে অব্যাহত আছে বৃষ্টিপাত। তাই ঢলের তীব্রতাও বাড়ছে।  

রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের তথ্য, বুধবার রাঙামাটিতে নতুন করে তলিয়ে গেছে ২৯টি ইউনিয়ন। ব্যানার পানিতে তলিয়ে গেছে ৬ হাজার ৫১৪টি বসত ঘর। ডুবেছে ৪টি আশ্রয় কেন্দ্র। সড়ক ও কালভার্ট ডুবেছে ৭৭টি। হাট- বাজার ডুবেছে ১৮টি। বিদ্যুতের খুঁটি ডুবেছে ২৪টি। পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় ৩ হাজার ৩৬৮.১৫ একর। মাছের ঘের ডুবেছে ১৪৯টি। গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১০টি। ওই সব এলাকায় এখন বন্যা কবলিত মানুষের সংখ্যা এখন ৩৯ হাজার ৬২৫জন।  

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান, জানায়, বন্যা কবলিতদের জন্য ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত আছে। পর্যাবেক্ষণ করা হচ্ছে সব পরিস্থিতি।  

এই রকম আরও টপিক